শিরোনাম

যেমন হবে আগামীর চিকিৎসা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৮৫ দেখা হয়েছে

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী:- কেমন হবে ভবিষ্যতের চিকিৎসা? সত্যিই কি নিরাময় হবে ক্যানসার? ল্যাবে গজিয়ে ওঠা অর্গান কি মানব অঙ্গ ডোনেশনের চাহিদা কমাবে? পুরুষ জন্মনিরোধ কি হবে আগামী ট্রেন্ড? এসব কি কেবল ভবিষ্যদ্বাণী, নাকি বাস্তবেও সম্ভব?

এখন পর্যন্ত এমনটাই মনে হচ্ছে, আগামী দিনের ওষুধ হবে ব্যক্তির চাহিদামাফিক, ডিজিটাল আর ডেটানির্ভর এসব পরিবর্তন ঘটার পথে। এই পরিবর্তনের হোতা কৃত্রিম মেধা ও আধুনিক প্রযুক্তি।

ভবিষ্যৎ কেমন হবে
কিছু প্রযুক্তি যা আছে অঙ্কুরে, বিকাশের শুরুতে সেগুলো থেকে তাদের ভবিষ্যৎ বিষয়ে কিছু আন্দাজ করা যায়। ভবিষ্যতের চিকিৎসার অনেকটাই হবে প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষের বুদ্ধিকে সহায়তা দিতে বা এর বিকল্প হয়ে আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

ডিজিটাল হেলথ, সেন্সরস ও রোবটিকস
বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রভূত উন্নতির কারণে পরিধানযোগ্য বা অয়্যারেবল টেকনোলজি দিয়েছে বিভিন্ন সুবিধা।

মানুষ এখন নিজের নজরদারি নিজে করতে পারে, অয়্যারেবল প্রযুক্তি দিয়ে নিজের রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দনের হার মাপা যায়। মাপা যায় খাদ্যাভ্যাস, দিনে কয় পা হাঁটলেন, কায়িক শ্রমে কী পরিমাণ ক্যালরি ক্ষয় হলো ইত্যাদি। ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ডিভাইসগুলোর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এদের বলে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) মেডিসিন। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্ভাবনী নতুন সম্ভাবনা হলো কাটিং এজ টেকনোলজি। আরও দ্রুত কোভিড প্যানডেমিকের উদ্ভবের কারণে আমরা এখন সংক্রামক রোগের আবির্ভাব স্মার্টফোন আর কম্পিউটার কাজে লাগিয়ে অনেক দ্রুত আন্দাজ করতে পারি।

ভবিষ্যতে মানুষ কেবল শরীরের বাইরের দিকে এসব প্রযুক্তি লাগিয়ে বহন করবে তা নয়, ভেতরেও বহন করবে। এতে আছে সেন্সর বা স্মার্ট বডিজ। অবস্থান দেহের ভেতরে হলেও এরা সংযুক্ত ইন্টারনেটের সঙ্গে। এগুলো শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন খবর, যেমন রক্তচাপ, রক্তে সুগারের মাত্রা ইত্যাদি বিষয় জানান দেয়। এরা আসন্ন রোগের আগাম সংকেত দেয়। ক্লিনিকে থাকবে রোগীদের জন্য তথ্য আদান-প্রদানের চ্যাট বট। এতে চাপ কমবে সেবাব্যবস্থার ওপর। রোবট সার্জারি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। এমনকি সার্জনরা দূর থেকে প্রসিডিউর করার সক্ষমতা অর্জন করবেন। রোবটিক সার্জারি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

জিন থেরাপি ও জিন এডিটিং
চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিএনএ সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি রোগীর তথ্য-উপাত্ত ধরে রাখবে। তা হবে বিরাট লাভ। রোগ উপলব্ধিতে বিরাট সহায়তা করবে এই প্রক্রিয়া। এই শতকের মাঝামাঝি দেখা যাবে, প্রত্যেক নবজাতকের হবে নিয়মিত ডিএনএ সিকোয়েন্সিং।

কিস্পার সিএস জেনোম এডিটিংয়ের মাধ্যমে আমাদের জীবনে আসবে জিন থেরাপির সম্ভাবনা। এর মাধ্যমে ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে আছে অনেক সুযোগ।

ন্যানো মেডিসিন ও স্টেম সেল টেকনোলজি
ন্যানো টেকনোলজির চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রয়োগ হলো ন্যানো মেডিসিন। ন্যানো পার্টিকেল দেহের ভেতরে ওষুধ পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, হবে দারুণ লক্ষ্যভেদী। এদের সাহায্য ছাড়া ওষুধের অংশবিশেষের শোষণ হবে না।

এগুলোর বাইরেও থ্রিডি প্রিন্টিং, বায়ো প্রিন্টিং স্টেম সেল টেকনোলজির ব্যবহার আনবে চিকিৎসায় নতুন নতুন মাইলফলক।

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions