রাঙ্গামাটি:- গতকাল খাগড়াছড়ি জেলায় আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সোহেল রানা নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কোন প্রভাব নেই রাঙ্গামাটিতে। বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল থেকে পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক।
হাট-বাজার থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লেনদেনে ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছে। কর্মজীবী মানুষও নিত্য নৈমক্তিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
পুরো শহর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান রয়েছে। সড়ক ও নৌ-পথের দূর পাল্লার সকল যান নির্দিষ্ট স্থান থেকে গন্তব্যর উদ্দেশ্যে থেকে ছেড়ে গেছে। শিক্ষক হত্যা ঘটনায় খাগড়াছড়িতে ১৪৪ধারা বলবৎ থাকায় রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়িগামী কোন যান ছেড়ে যায়নি।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোন গুজবে কান দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে গুজব না ছড়াতে সচেতন করা হচ্ছে এবং যে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে খাগড়াছড়িতে চুরির অভিযোগে মামুন নামের এক যুবকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও অনেকে আহত হন।
ঘটনা তদন্তে সরকার ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীর কমিশনারকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি এবং ৩০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলো পরিদর্শন করে এবং আগামী ১৪দিনের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিবে।