ডেস্ক রির্পোট: -ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘ পরমাণু নজরদারি সংস্থার প্রধান। তিনি আরো জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাজেন্সি (আইএইএ) আজ মঙ্গলবার ইরানি স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করবে।
ইসরাইলের সামরিক প্রধান সোমবার জানিয়েছেন, গত শনিবারের ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব তার দেশ দেবে। বিভিন্ন দেশ সংযত থাকার আহ্বানের মধ্যেই ইসরাইলি সামরিক প্রধান ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ সাতজনকে হত্যার বদলা নিয়ে শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ইসরাইল দাবি করেছে, এসব প্রজেক্টাইলের ৯৯ ভাগই ভূপাতিত করা হয়েছে।
আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বলেন, ‘নিরাপত্তা বিবেচনায়’ ইরান রোববার তার পরমাণু স্থাপনাগুলো বন্ধ রাখে। তবে সোমবার এগুলো আবার খুলে দেয়া হয়। গ্রসি বলেন, ‘পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হওয়া পর্যন্ত’ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার যাচ্ছি। এটা আমাদের নজরদারি কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ইসরাইল হামলার সম্ভাবনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে গ্রসি বলেন, ‘আমরা সবসময় এই সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ তিনি ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
আইএইএ নিয়মিতভাবে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করে থাকে। এগুলোর অন্যতম হচ্ছে নাতাঞ্জ সমৃদ্ধকরণ প্লান্ট। এটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল স্থাপনা।
ইরান বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। তবে পাশ্চাত্য শক্তিগুলো অভিযোগ করছে, ইরান পরমাণু বোমা তৈরীর চেষ্টা করছে।
এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভি সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শনিবারের ইরানি হামলার জবাব অবশ্যই দেয়া হবে। তিনি ইরানি হামলায় সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত নেভাতিম বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইরান চেয়েছিল ইসরাইল রাষ্ট্রের কৌশলগত সক্ষমতার ক্ষতি করতে। এমন কিছু তারা আগে কখনো কতে পারেনি। আমরা ‘আয়রন শিল্ড’ অভিযানের জন্য প্রস্তুত ছিলাম।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট ও টাইমস অব ইসরাইল