শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা খাগড়াছড়ির সীমান্ত আরও ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ পরিবার: সুনাগরিক ও সুশাসক তৈরির ভিত্তিমূল জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে জুলাই সনদ প্রকাশ করবো: প্রধান উপদেষ্টা রাঙ্গামাটিতে বেড়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত ৬৬১ আশঙ্কা, ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে চলেছে রাঙ্গামাটিতে নিচুংমা মারমা ও ফাহিমের প্রেম-বিয়ে কোনো বাধাই আটকাতে পারেনি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলি হামলা বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে হাজারো ধর্মপ্রাণ নর-নারী অংশ গ্রহনে ধর্মীয় আচারে মাধ্যমে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০৩ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা নানা ধর্মীয় আচারে মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাসব্যাপী নির্জন আশ্রমে বাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার মাধ্যমে লোকারণ্যে ফিরে আসে। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি শহরের রাজবন বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল থেকেই পঞ্চশীল গ্রহণ, প্রার্থনা, বুদ্ধ সংগীত, মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের করেছে। এরপর অষ্টপরিষ্কার দান, অষ্টশীল গ্রহণ, বুদ্ধ পূজা প্রভৃতি আচার শেষে দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা দেওয়া হয়।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা হতে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত, এই তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করেন। আর এই বর্ষাব্রত পালন শেষে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথিতে তারা প্রবারণা করেন। স্বাভাবিক সসময়ে প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন হতে পরবর্তি এক মাস বিহারে বিহারে অনুষ্ঠিত হয কঠিন চীবর দান। তবে পর্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক ঘটনা প্রেক্ষাপটে এবার হচ্ছে কঠিন চীবন দান অনুষ্ঠান। তবে পুণ্যার্থীদের আশা আগামী বছর সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে এবং সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপদ করার আশার কথা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য বনভান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে একে-অপরের প্রতি হিংসায় লিপ্ত না হয়ে সৎ চিন্তা ও সৎ কুশলকর্ম সম্পাদন পূর্বক নিজেকে আত্মসংযম রেখে বুদ্ধের নিয়ম-নীতি পালনের আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ও আবাসিক প্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় আরো ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।

পূণ্যার্থী জ্ঞান লতা চাকমা বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই তিন মাস বর্ষাব্রত পালন শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার মাধ্যমে লোকারণ্যে ফিরে আসে। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। এই দিন অতীতের ভুল ভ্রান্তির জন্য একে অপরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এমন পূণ্যময় অনুষ্ঠানে ভক্তকূলের প্রাথর্না সকল সম্প্রদায়ের মৈত্রীময় সহবস্থানেরর পাশাপাশি দেশ ও জাতির শান্তি মঙ্গল কামনা।

রাঙামাটি রাজবন বিহারে উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান বলেন, একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা থাকবে। এক ধর্মের মানুষের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে এই প্রত্যাশা নিয়ে আজ প্রর্থনা করবো। বাংলাদেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বিশে^ সুখ শান্তি বিরাজ করে।

চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে আগামী এক মাসের মধ্যে কঠিন চীবর দান হওয়ার কথা। তবে আমি শুনেছি চলমান পরিস্থিতির কারণে এবছর ভিক্ষুরা এই চীবর দান না করার সিদ্ধন্ত নিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ভিক্ষু সংঘের সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনি। তবে এটাও শুনেছি কঠিন চীবর করতে হলে কিছু শর্ত, অবস্থা ও প্রেক্ষিত আছে সেগুলো পূরণ করতে হয়। সেইসব কারণগুলো বিবেচনা করেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যে বিশেষ পরিস্থিতিতে ভিক্ষুরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেজন্য সরকার ও জাতিসংঘ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক যাতে জাতিগত সহিংস ঘটনা বন্ধ হয়। আগামীতে যাতে কঠিন চীবর দানসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপত্তার সাথে পালন করতে পরে সেই প্রত্যাশার কথা বলেন চাকমা সার্কেলের এই চিফ।

ধর্মীয় দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ নর-নারী অংশ নেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions