চট্টগ্রামে নকল ও অনুমোদনহীন ওষুধ মজুদ, জেল-জরিমানা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ৬২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নগর থেকে গ্রাম সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। ক্রেতারা নকল ওষুধের ভিড়ে আসল ওষুধের পার্থক্য করতে পারছেন না। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, নকল ওষুধগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, আসল না নকল বুঝার সাধ্য থাকে না। সর্বশেষ গতকাল বুধবার নগরীর মেহেদিবাগ শহীদ মির্জা লেনের নূর ভিলায় নকল ওষুধের ডিপোর খোঁজ পেয়েছে প্রশাসন।

গতকাল বুধবার দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ, দামের তারতম্যের মতো গুরুতর অপরাধ ধরা পড়ে। Nerve-Dx, Fair Soap, Virogel, Virocon, Vh-Lotion, Uni-Bion, Uni-D3, Uni Vis, J-One, J-Bion, J-Roba, J-Pollen, S-Bole ইত্যাদি নামের প্রায় ৫ লাখ টাকার নকল ওষুধ জব্দের পাশাপাশি ২ জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মো. আহসানুল কবির (৫৬) এবং সুলতানা রাজিয়া (৩৫)।

ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ এবং আভিযানিক টিমের সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মো. আহসানুল কবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাক্রমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাজিয়া সুলতানাকে (৩৫) একই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাজিয়া সুলতানা জরিমানা পরিশোধ না করায় সাজা পরোয়ানামূলে তাকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধী দুজনই স্বীকার করেছে যে, তারা নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি জব্দ করা সব ওষুধ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও এই অবৈধ ওষুধগুলোর সম্ভাব্য বিপণন দোকানগুলোতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে এবং যে সব চিকিৎসক এসব নকল, ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, নকল-ভেজাল, আন-রেজিস্ট্রার্ড ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুদ বন্ধের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions