শিরোনাম
রাঙ্গামাটির চম্পকনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিদের পাশে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে,এসব আসনের পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে, নির্বাচনের আগেই সমাধান চেয়ে অর্ধশত আবেদন পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত রাঙ্গামাটির সাজেকে পর্যটকদের ঢল, খালি নেই কোনও রিসোর্ট খাগড়াছড়িতে জিপ উল্টে নিহত ১ সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম হদিস নেই ১৬৩টি অস্ত্র ও ১৮ হাজারের বেশি গুলির,লুণ্ঠিত অস্ত্রের বেশীর ভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে জেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা ছয় দিন ও উপজেলা পর্যায়ে এক দিন : ডিসি র‌্যাব বিলুপ্তিসহ পুলিশ সংস্কারে বিএনপির ৫ সুপারিশ মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, আবেদন শুরু মঙ্গলবার

রাস্তায় আঁকা শহিদ মিনার-বর্ণমালা পায়ে মাড়াচ্ছে পথচারীরা!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- মহান একুশে ফেব্রুয়ারির মহত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মাগুরার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আঁকা হয়েছে ২১ এর আলপনা। এই আলপনার মধ্যে শহরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি মহিলা কলেজ সড়কে আঁকা হয়েছে শহিদ মিনার ও বিভিন্ন বর্ণমালা। যে শহিদ মিনার ও বর্ণমালা দু’পায়ে মাড়িয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করছেন। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে শহিদ বেদিতে জুতা পায়ে উঠলে শহিদদেরকে অসম্মান করা হয় সেখানে শহিদ মিনার মাড়িয়ে চলাচল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা।

‌’একুশের আলপনায় মাগুরা’ শিরোনামে মাগুরা জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে আলপনার রঙে সজ্জিত করা শুরু করে মাগুরার চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিকসহ স্বেচ্ছাসেবকরা। শহরের ভায়নার মোড় থেকে চৌরঙ্গীর মোড় হয়ে নোমানী ময়দান শহিদ বেদি পর্যন্ত এবং কেশব মোড় থেকে চৌরঙ্গীর মোড় হয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও সরকারি মহিলা কলেজ রোডে আলপনা আঁকে তারা।

শহিদ মিনারের চিত্র পায়ে মাড়িয়ে আসা মো. ওমর ফারুক বলেন, এখানে শহিদ মিনার আঁকা এটি একটা অত্যন্ত দামি জিনিস। আমিও তো খেয়াল করিনি এটা মাড়িয়ে এসেছি। তবে আমার মনে হয় এটা সড়কে আঁকা ঠিক হয়নি।

মহিলা কলেজে যাওয়া একাধিক ছাত্রী বলেন, বইয়ে বর্ণমালা থাকে যেগুলো অনেক সময় পা লাগলে আমরা সালাম করি। তাছাড়া শহিদ মিনারে আমরা সাধারণত জুতা পায়ে উঠি না। রাস্তার মধ্যে শহিদ মিনার ও বর্ণমালা আঁকায় আমাদেরকে এগুলো পাড়িয়েই কলেজে যাওয়া লাগছে। আমাদের মনে হয় রাস্তাতে অন্যান্য আলপনাগুলো আঁকা ঠিক থাকলেও বর্ণমালা বা শহীদ মিনার আঁকা ঠিক হয়নি।

মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। এর মাধ্যমেই পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। আমাদের কলেজের প্রবেশপথে কে বা কারা আলপনা এঁকেছে সেগুলো বেশ ভালো হয়েছে। তবে সেখানে শহিদ মিনার ও বিভিন্ন বর্ণমালা আঁকা হয়েছে যেগুলো ছাত্র-ছাত্রীরা পাড়িয়ে কলেজে আসছে। প্রভাত ফেরিতে এই বর্ণমালা ও শহিদ মিনার পাড়িয়ে কীভাবে শহরে যাবো সেটাই ভাবছি।

আলপনা আঁকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যতম উদ্যোক্তা ‘পরিবর্তনে আমরাই’ এর সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, রাস্তার বিভিন্ন অংশে আলপনা, বর্ণমালা ও শহিদ মিনারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এখন অনেকের কাছে প্রশ্ন আসতে পারে শহিদ মিনার আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গা, এটি রাস্তায় কেন আঁকা হয়েছে এখানে বিভিন্ন গাড়ি-ঘোড়া চলছে। আমরা আলপনার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন শহিদ দিবস অমর একুশে ফেব্রুয়ারির যতগুলো স্মৃতি রয়েছে এগুলো চিত্রের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটি শুধু একটি চিত্র যেটির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। চিত্রের সঙ্গে মূল শহিদ মিনার মিলিয়ে ফেলা কিছুটা ভুল হবে বলে মনে করি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions