শিরোনাম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ কোটা সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৬,ছুটির দিনেও রাজধানী ফাঁকা এএসআই মোক্তাদিরের ওপর নৃশংসতায় স্তব্ধ পরিবার সারা দেশে অভিযান,এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ ‘গুলি আর কারা করবে, আমরা নিরস্ত্র ছিলাম’-মিফতাহ সিদ্দিকী ‘এত মৃত্যু দেখে কেউ চুপ থাকতে পারে না’ কোটা বিক্ষোভ দমনের পর প্রান্তসীমায় বাংলাদেশ,ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্ট নতুন নির্বাচন দাবি ড. ইউনূসের গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ ফেসবুক খুলবে কবে? এই মাধ্যম এখন আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান ৫৫০ মামলা ৬ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার

গণমাধ্যমের পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। কারণ যখন দেশে গণতন্ত্র থাকে না, স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসে, তখন সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তারপর সংবাদপত্র মালিক যারা আছেন, তারা আবার দ্বিধাবিভক্ত। তাদের মধ্যে ঐক্য থাকলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, সরকারের দমননীতি সেগুলোর বিপক্ষে একটা ভালো অবস্থান করে নিতে পারতো। স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। সেটার আর সুযোগ নেই এখন। খুব খারাপ অবস্থা।

গণমাধ্যমে আস্থার সংকট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে তাকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারের অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি, ভোটাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চেপে যেতে হচ্ছে।

সাধারণ মানুষ তো আর এগুলো বুঝবে না। তারা দেখবে যে, আমরা যে যন্ত্রণা ভোগ করি, কষ্ট পাই সেটা সংবাদপত্রে নেই। ফলে আস্থার সংকট তো আসবেই।

গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। একসঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের আইন ও যে বিধিনিষেধ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ১৯৯০-এ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটার সুফলটা মনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। যতোটুকু সুযোগ আছে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। আমরা মানবজমিনকে দেখেছি- অনেক পত্রিকা সাহস করে কিছু লিখেনি, মানবজমিন সাহস করে লিখেছে। সৎ সাংবাদিকতা করেছে। মানবজমিন-এর সঙ্গে যদি আরও ৫-১০টা পত্রিকা যোগ দিতো তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভিন্ন হতো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত হতো।মানবজমিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions