শিরোনাম
রাঙ্গামাটির চম্পকনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিদের পাশে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে,এসব আসনের পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে, নির্বাচনের আগেই সমাধান চেয়ে অর্ধশত আবেদন পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত রাঙ্গামাটির সাজেকে পর্যটকদের ঢল, খালি নেই কোনও রিসোর্ট খাগড়াছড়িতে জিপ উল্টে নিহত ১ সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম হদিস নেই ১৬৩টি অস্ত্র ও ১৮ হাজারের বেশি গুলির,লুণ্ঠিত অস্ত্রের বেশীর ভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে জেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা ছয় দিন ও উপজেলা পর্যায়ে এক দিন : ডিসি র‌্যাব বিলুপ্তিসহ পুলিশ সংস্কারে বিএনপির ৫ সুপারিশ মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, আবেদন শুরু মঙ্গলবার

পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির আলোচনা সভা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধানোর নতুন ষড়যন্ত্র ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস রুখতে জনগণের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত এবং ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস হলো আসলে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের ফল। জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংঘাতকে ” না” বলে এবং সংঘাতপন্থীদের সহযোগিতা না করে, তাহলে এই সংঘাত বাঁধানোর যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব।

আজ ৪ঠা জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি ও গণ অধিকার রক্ষা কমিটির আয়োজিত এক আলেচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত কমিটির সভাপতি শান্তি জীবন চাকমা এতে সভাপতিত্ব এবং পানছড়ি গণ অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অনিল চন্দ্র চাকমা সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।

ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে জুম্ম জাতির জন্য এক বিরাট অভিশাপ আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, একটি মহল নতুন করে আবার ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জাতি ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের পেছনে সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকার ও তার বাহিনীগুলো এই সংঘাতের দায় এড়াতে পারে না। এই সংঘাতে আমরা আজ পযন্ত শত শত প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ যুবককে হারিয়েছি। এটা জাতীয় মানবসম্পদের এক চরম অপচয়ও। যাদেরকে হারিয়েছি তারা আমাদের কারও না কারও ভাই বা নিকটাত্মীয়।’

পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও আলোচনা সভার সভাপতি শান্তি জীবন চাকমা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে ‘না’ বলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান এবং বলেন, যারা সংঘাত চায় তাদেরকে সহযোগিতা না করলে এবং সর্বত্র জনগণের মধ্য থেকে প্রতিবাদ উঠলে নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধানোর ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া সম্ভব হবে। করণ চূড়ান্ত বিচারে জনগণই হলেন আসল শক্তি।

সাধারণ জনগণ ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত বছর ১১ জুন ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত শুরু হওয়ার পর জনগণ সব জায়গায় ঐক্যবব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেছে বলে তখন সংঘাতপন্থীরা পিছু হটতে ও সংঘাত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।

শান্তি জীবন চাকমা বলেন, নতুন করে যাতে কোন মহল ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি পানছড়িবাসীসহ সকলকে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সৃষ্টিকারী দল ও সংগঠনকে কোন ধরনের সহযোগিতা না দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।

ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস সম্পর্কে বক্তারা বলেন, একটি বিশেষ বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিপথগামী কিছু পাহাড়ি তরুণদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদেরকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন অপহরণ ও চাঁদাবাজি করছে। এতে জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বক্তারা বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়ার ও তাদের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকার তথা রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত বাহিনীগুলো তাদের এই দায়িত্ব পালনে কেবল ব্যর্থ তাই নয়, তারা এখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অরাজক পরিস্থিতির জন্য দায়ি।

এই অবস্থা জনগণ দীর্ঘদিন নীরবে মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, যে কোন সময় জনগণ ফুঁসে উঠবে। তখন তার দায়-দায়িত্ব সরকার ও তার বাহিনীগুলোকে নিতে হবে।’

আলোচনা সভায় বক্তারা নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধানোর ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া তারা ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস বন্ধ করা, ‍ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়া এবং ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়িতে বিপুল চাকমাসহ ৪ ইউপিডিএফ-ভুক্ত ছাত্র-যুবনেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চন্দ্রদেব চাকমা, উপজেলা প্যানেল চেয়্যারম্যান; জয় কুমার চাকমা, চেয়ারম্যান ১নং লোগাঙ ইউপি; আনন্দ জয় চাকমা, চেয়ারম্যান ২নং চেঙ্গী ইউপি; উচিত মনি চাকমা, চেয়ারম্যান ৩ নং সদর ইউপি; ভূমিধর রোয়াজা, চেয়ারম্যান ৪নং লতিবান ইউপি; হীরামতি বড়ুয়া, সাবেক মহিলা মেম্বার ৭,৮,৯ ওয়ার্ড, সদর ইউপি; হেম রঞ্জন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, কার্বারী এসোসিয়েশন; বাদশা কুমার ত্রিপুরা, কার্বারী, মরাটিলা এলাকা; সত্য প্রিয় চাকমা, সমাজ সেবক, লতিবান এলাকা; সুজাতা চাকমা, সদস্য সচিব, গণ অধিকার রক্ষা কমিটি; রমেল মার্মা, সদস্য, গণ অধিকার রক্ষা কমিটি।

এছাড়া মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন সমর বিকাশ চাকমা (জলৎকার), সাবেক চেয়ারম্যান, ১নং লোগাঙ ইউপি; মন্দিরা চাকমা, মহিলা মেম্বার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড, সদর ইউপি; নন্দ দুলাল, সমাজ সেবক, বড়হলক, ইউপি; ও জীবন কৃষ্ণ চাকমা, সমাজ সেবক, বড়হলক এলাকা।
আলোচনা সভায় পানছড়ির বিভিন্ন এলাকার ৩ শতাধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, কার্বারী, মান্যগণ্য মুরুব্বী ও ছাত্র-যুব সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions