পাহাড়ের পর্যটনে সুদিন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৬৩ দেখা হয়েছে

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) ও খাগড়াছড়ি:- সবুজ পাহাড়, লেক, অরণ্য, ঝরনা ও উপত্যকার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি। সারা বছরই এখানে পর্যটক সমাগম থাকে। তবে বড়দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকের সমাগম বেড়েছে।বিনোদনকেন্দ্রগুলো পর্যটকে মুখরিত। হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে।

কাপ্তাইয়ের বালুরচর এলাকায় কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের গা ঘেঁষে অবস্থিত আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ‘প্রশান্তি পার্ক’। ২৪ ডিসেম্বর বেলা ২টার দিকে দেখা যায়, এই কেন্দ্রে শত শত পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ঘুরতে আসা চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকার শিউলি চৌধুরী প্রতিবেদককে জানান, তাঁরা একসঙ্গে ২০ জন বেড়াতে এসেছেন। কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে তাঁরা মুগ্ধ।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি হাজিরটেক নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে দেখা যায়, এইখানে ৯টি পট হাউসের কোনোটি খালি নেই। কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাসুদ তালুকদার জানান, এক সপ্তাহ ধরে সব পট বুকিং।

ওয়াগ্গা বিজিবি পরিচালিত রিভার ভিউ পার্ক অ্যান্ড পিকনিক স্পটে গিয়ে দেখা যায়, শত শত পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন বেড়াতে। তাঁদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী স্বর্ণালি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১০ জনের দল এইখানে বেড়াতে এসেছি।’

কাপ্তাই উপজেলা বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র শিলছড়ি বনশ্রী পিকনিক কেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী রুবাইয়েত আক্তার চৌধুরী জানান, পর্যটন শহর কাপ্তাইয়ে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুদের আগমন ঘটছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোনো রিসোর্ট খালি থাকে না।

গতকাল সকালে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলায় কথা হয় চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক তানভীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর অফিশিয়াল ট্যুরে বেড়াতে আসি। এবার এলাম এখানে। নন্দন পার্ক, ঝুলন্ত সেতু খুব ভালো লেগেছে।’ ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন ফরিদা আলম। তিনি বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছি। শনিবার সাজেকে ছিলাম।’

খাগড়াছড়িতে আবাসিক হোটেল ও মোটেলের সংখ্যা ৩০। শুক্রবার থেকেই প্রতিটি হোটেলের কোনো কক্ষই খালি নেই। অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা জানান, শুক্র ও শনিবার আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় বেড়েছে।’

খাগড়াছড়ির বেসরকারি আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘তিন দিনের ছুটি পাওয়ায় আগে থেকেই সব কক্ষ বরাদ্দ হয়ে গেছে।’

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক জানান, পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions