শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি

বাংলাদেশের মানুষ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১৩৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফকির আলমগীরের একটি গান আছে, দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়। আমরা রক্তের দাম দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। কারো দয়ার বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। আজকে সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয় সেই বিষয়গুলো দেখবে। দেখেছে অতীতে। আর কোনো দেশ যদি মনে করে আমাদের উপর প্রভুত্ব করবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি। মুঘল আমলেও করেনি, ব্রিটিশ আমলেও করেনি এবং পাকিস্তানের আমলেও করেনি। এখনো করবে না।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এই সমাবেশ শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
শেষ হয় বেলা ১২টায়। সমাবেশের ব্যানারের নিচে লাল ও কালো রঙে বাংলা এবং ইংরেজি লেখা ছিলো ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন’।

আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, গত দুই বছরে আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী রাজপথে প্রাণ দিয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। অনেকের হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। সুতরাং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে না নামলে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না। শ্রমিক ও ছাত্রদের নামাতে হবে। সেদিনই হবে সফল গণঅভ্যুত্থান, সফল বিস্ফোরণ এবং বিজয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এবং প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে জোর করে এই যে দখলদারি একটা রেজিম, শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপরে চেপে বসে আছে। এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, এদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই এই চেয়ারগুলোতে বসে থাকার। এরা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ১৯৭৫ সালেও প্রতারণা করেছিলো। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে আবার ভিন্ন কায়দায় ছদ্মবেশে মুখে গণণতন্ত্রের কথা বলে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। আজকের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এই আপনারা মোবাইল ব্যবহার করছেন। মোবাইলের যে টেকনোলজি, এটাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যা কিছু করে তা তারা দেখতে পায়। শুনতে পায়। ফলে যখন বাংলাদেশের কোনো মানুষ কথা বলতে চায়, প্রতিবাদ করতে চায়, বিপ্লব করতে চায় এবং ঘুরে দাঁড়াতে চায় তখনই তাকে তুলে ফেলে।

ফখরুল বলেন, ১৪ সালের নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) বিরোধী দলকে আসতে দেয়নি। অত্যন্ত সুকৌশলে ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে মানুষের মতামতকে কেড়ে নিয়েছে। আর এবার আরও চমৎকার নাটক করেছে। নিজেরা নিজেরাই নির্বাচন করেছে। ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। যারা বিরোধী দল বলে দাবি করে তাদের আসন বন্টন করে একটা নির্বাচন করেছে! যে নির্বাচনকে কেউ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করেনি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বও গ্রহণ করেনি।

মুক্তিযুদ্ধ করার লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেই সংবিধানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কী দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে এই ৫২ বছর পরেও এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করে, তাদের সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজকে মানুষ সত্য কথা বলতে চায় এবং মোবাইলে যদি কোন পোস্ট দেয়, এমনকি আকার-ইঙ্গিতেও কথা বললে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions