শিরোনাম
ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি নেতাদের বাঁচার উপায় বাতলে দিলেন তারেক রহমান

হাট-বাজার ইজারার ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা ২০২৪ এর খসড়ায় হাট-বাজার থেকে প্রাপ্ত ইজারালব্ধ অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, ৫ শতাংশ সরাসরি কেন্দ্রীয় রাজস্বে এবং বাকি ৯১ শতাংশ হাট ও বাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় শাসন শক্তিশালীকরণ ও স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়েই সরকার হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা প্রণয়ন করছে। কল্যাণমুখী স্মার্ট স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকারের পরিকল্পনায় নতুন হাট-বাজার বিধিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, হাটবাজার বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। প্রান্তিক কৃষক ও সীমিত পুঁজির ব্যবসায়ীরাও যাতে হাটবাজারকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

সভায় জানানো হয়, হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা ২০২৪ এর খসড়ায় হাট-বাজার থেকে প্রাপ্ত ইজারালব্ধ অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫ শতাংশ অর্থ সেলামিসরূপ সরাসরি কেন্দ্রীয় রাজস্বে যুক্ত হবে। হাট ও বাজারের ইজারালব্ধ অর্থের বাকি ৯১ শতাংশ হাট ও বাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে; এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, হাট-বাজারের উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকাএর রাজস্ব আয় ইত্যাদি। এছাড়া, হাট ও বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারি খাসজমিতে বহুতল বিশিষ্ট বিপণিবিতান নির্মাণের বিধানও রাখা হয়েছে খসড়া বিধিতে।

হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ‘হাট ও বাজার’ বা ‘হাট বা বাজার’ শব্দটি এমন কোনো স্থানকে বোঝায় যেখানে সাধারণ মানুষ কৃষিপণ্য, ফলমূল, পশু, হাঁস-মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, খাদ্য ও পানীয়, শিল্প পণ্য এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য গুলি দৈনিক ভিত্তিতে বা সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে ক্রয় ও বিক্রয় করে। ওই স্থানে এই সকল পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত দোকানও এর অন্তর্ভুক্ত। এই আইনের বিধিমালা এখন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

উল্লিখিত আইন অনুযায়ী হাট ও বাজারের মালিকানা ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত। কালেক্টর তথা জেলা প্রশাসক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে। সাধারণত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাতে আওতাভুক্ত উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন হাট ও বাজারের ব্যবস্থাপনা করে থাকে। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ভূমিতে কোনো হাট ও বাজার স্থাপন করা হলে উক্ত ভূমিসহ ওই খানে স্থিত সমস্ত স্বার্থ বা স্থাপনা সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে মোট হাট-বাজার সংখ্যা ১০ হাজার ২৬৫টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ৯৫৫টি ইজারাকৃত হাট ও বাজার থেকে প্রায় ৯৯০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions