চট্টগ্রাম:- সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৮০০ গণপরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি)।
এরইমধ্যে জরিপ চালিয়ে আরটিসি’র তিনটি দল যেসব গাড়ির মডেল পরিবর্তন করা হয়েছে, ইঞ্জিন ও চেসিসে ঘষামাজা করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে– এ ধরনের প্রায় ৮০০ বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পো শনাক্ত করে রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করেছে।
এসব গণপরিবহনের মধ্যে বাস-মিনিবাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পো আটশ’র বেশি। টেম্পো ৫৬১টি, হিউম্যান হলার ৪৫টি এবং বাস-মিনিবাস ২০০টি।
সম্প্রতি আরটিসির সভায় সুপারিশ অনুযায়ী ৫৬১টি হিউম্যান হলার, টেম্পো ও দুই শতাধিক বাস-মিনিবাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এসব গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে। পাশাপাশি গাড়ি মালিকদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের সমান সংখ্যক গাড়ির রুট পারমিট দেওয়া হবে। এছাড়া ছোট গণপরিবহনের রুট পারমিট দেওয়া হবে না। কেউ চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনে রাস্তায় নামাতে পারবেন না। ব্যক্তি পর্যায়ে কেনা বাস-মিনিবাসের রুট পারমিটও অনুমতি পাবে না।
নগর ট্রাফিকের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার জয়নাল আবেদিনকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যবিশিষ্ট বাস ও মিনিবাস জরিপ কমিটি, ট্রাফিকের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে হিউম্যান হলার এবং পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) তারেকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে অটোটেম্পো জরিপ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলো তাদের প্রতিবেদন আরটিসির চেয়ারম্যান নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রামে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, পরিবহন মালিকরাও চায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক। এ জন্য যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক। আমরা এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো।