ডেস্ক রির্পোট:- রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। আর রোববারের (৭ জানুয়ারি) ভোটকে কেন্দ্র করে মাইকিং করা হয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে হ্যান্ড মাইক দিয়ে করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মূলত: উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের আগামীকাল ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান করছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধু জাতীয় নির্বাচনই নয় উপজেলা, ইউনিয়নসহ প্রতি নির্বাচনেই পাথরঘাটার উপকূলের অধিকাংশ জেলে সাগরে মাছ ধরতে থাকায় ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হন। এ বছর এটি ভিন্নতর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাথরঘাটা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলায় প্রায় ৪২ হাজার জেলে শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটায় রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার জেলে। এসব জেলেদের ভোট না দিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যেতে মাইকিং করে নিষেধ করা হচ্ছে।
এছাড়াও সাগরে থাকা জেলেদের ঘাটে ফিরে আসতে ট্রলার মালিকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ সময়ে জেলেরা নতুন করে মাছ শিকারে সমুদ্রে যায় তারা ভোট দিতে পারেন না। তাই নতুন করে সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও সাগরে থাকা ১০ হাজার জেলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঘাটে ফিরবে। এসব জেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবেন।
এ বিষয় সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ভোটের দিন অধিকাংশ জেলে ভোটাররা সাগরে থাকায় তারা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ফলে ভোটাররা যেমন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন না তেমনি প্রার্থীরাও মূল্যবান ভোট পাচ্ছেন না। এ বছর জেলেদের ভোট দিতে আসতে মাইকিং করা ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। তবে এটা আরও কয়েকদিন আগে করলে ভালো হতো। কারণ জেলেরা ১০-১৫-২০ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকার করতে যায়। যারা দু- তিন দিন আগে গেছেন তারা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকলে কীভাবে আসবেন?
তিনি আরও বলেন, এ বছর শুরু হলো, প্রতি নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার পর থেকেই জেলেদের মাঝে ভোটাধিকার প্রয়োগে গুরুত্ব বোঝানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, পাথরঘাটায় ১ লাখ ৪১ হাজার ২৪৯ জন ভোটার রয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য পাথরঘাটায় ৫৩টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এক হাজারের অধিক নৌবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাবের কয়েকটি টহল টিম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।