শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে জেএসএস এর গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসীত সেকশন কমান্ডার রিপেল চাকমা নিহত নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কোরবানীর জন্য প্রয়োজন সমাজের সম্মিলিত প্রয়াস এবং ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার সমন্বিত প্রয়োগ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপন ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় ইতিবাচক : ঔষধ শিল্প সমিতি দেশে ফের করোনায় মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩ গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার সন্দেহ, শ্যালিকার হাতে দুলাভাই খুন! যে কোন সময় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন: ডিসেম্বর-জুন নিয়ে কেন এই টানাপোড়েন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে গাড়ি, নিহত ৩

রাঙ্গামাটিতে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ৬৮ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ফসল, ঘরবন্দি হয়েছে বহু পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার কাউখালী, বাঘাইছড়ি পৌরসভা এলাকা, জুরাছড়ি, রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কাউখালী উপজেলার কাউখালী খাল ও ইছামতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার দু’টি স্কুল, একটি কলেজ ও ২১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ অসংখ্য বাড়িঘর ডুবে গেছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, চারটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৬১টি পরিবারের ২১০জন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৫০ জন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩২টি ঘর-বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বেশ কয়েকটি পাহাড় আংশিক ধসে পড়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, বাঘাইছড়ি পৌর এলাকার আশেপাশে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠেছে। উপজেলার ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি কম।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা বলেন, সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের স্কুল, বসতবাড়ি ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ফসলের।
উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের জামুরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই উপজেলা ছয়দিন ধরে বিদ্যুৎ বিছিন্ন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো কেউ উঠেনি।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত পর্যন্ত ৬৭২ জন মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৫৩টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৬৩ হেক্টর কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষদের তিনবেলা খাবার দেয়া হচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য। দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions