শিরোনাম
রাঙ্গামাটি টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করছে আঞ্চলিক কিছু সশস্ত্র সংগঠন: রিজিয়ন কমান্ডার রাঙ্গামাটিকে মাদকমুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন পুলিশ সদস্যরাই মাদক পাচারে যুক্ত, কেউ করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি, কেউ হোটেল,ওসি শহিদুলের মাদকসংশ্লিষ্টতা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা রাঙ্গামাটির চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে অষ্টপরিস্কার দান সংঘদান রাঙ্গামাটিতে দেড় দশকে বন্যহাতির আক্রমণে ৩৬ জনের মৃত্যু অন্তর্বর্তী সরকারের ষোলো মাস,উপদেষ্টা পরিষদের ৫১ বৈঠক ও ৮১টি অধ্যাদেশ প্রণয়ন জামায়াতের তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ১০০ প্রার্থী,রাঙ্গামাটিতে সর্বমিত্র চাকমা বা ফরহাদ,খাগড়াছড়িতে সাদিক কায়েম,বান্দরবনে খোঁজা হচ্ছে উপজাতি প্রার্থী যেভাবে ফাঁদে পড়েন প্রভা

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন প্রস্তুত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যত দ্রুত সিদ্ধান্তটি হবে ততই মঙ্গল। চীনের কুনমিং প্রদেশের সেরা তিনটি হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বেছে নেয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, চিকিৎসার ধরন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, দোভাষী নির্বাচনসহ সামগ্রিক প্রস্তুতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের শুরুতেই বাংলাদেশের রোগীদের প্রথম দলটি চিকিৎসা নিতে কুনমিং যাবে বলে আশা করছে বেইজিং। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গত মাসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফর করেন। তখন তিনি প্রথম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। ভারতের বিকল্প হিসাবে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার ওই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ লুফে নেয় চীন। সংবাদ সম্মেলনে চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকায় হাসপাতাল তৈরির জন্য বাংলাদেশের কাছে থেকে বিস্তারিত প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে চীন। এ ছাড়া চীন তাদের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষায়িত আধুনিক সরঞ্জাম দেবে। ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থাপিত ওই চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের জন্য রোবোট নিয়ন্ত্রিত ২০টি আধুনিক সরঞ্জাম আগামী মাসের শুরুতে ঢাকায় আসবে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের ভবিষ্যত সহযোগিতা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৫০ বছর ধরে অভিন্ন স্বার্থে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। চীন সবসময় বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যাই থাকুক না কেন, পরস্পরিক সম্মান, সাম্য এবং স্বার্থকে সামনে রেখে এ দেশের সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বই চীনের নীতি। দুই দেশের বন্ধুত্বের এ ভিত্তি কখনো পরিবর্তন হবে না আশা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্বভৌম এবং জাতীয় ঐক্য সুরক্ষায় চীন সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য চীনকে বেছে নিয়েছেন। এটা দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার স্পষ্ট বার্তা। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বকে সুসংহত ও গভীর করার বাড়তি সুযোগ। চীন ও বাংলাদেশ একে অপরকে সুপ্রতিবেশী ও বিশ্বস্ত অংশীদার ভাবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব-রাজনীতি কিংবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির যে পরিবর্তনে এ সম্পর্ক প্রভাবিত হবে না; বরং এটি সব সময়ে সামনের দিকে প্রবলগতিতে এগিয়ে যাবে।

৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে হাসিনার স্বৈরশাসনের পতনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা? জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন কৌশলী জবাব দেন। বলেন, প্রশ্নটি চীনকে নয়, ভারতের দূতের কাছে রাখতে হবে। তবে আশা করেন যেকোনো ইস্যু দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। ঢাকা-দিল্লির উত্তেজনা কমাতে চীন মধ্যস্থতা করবে কিনা? এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশিরা নিজেদের সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট বিচক্ষণ। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা আপনাদের এলাকার নদী, আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এ প্রকল্প দ্রুত শুরু করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন জানান, সংস্কার ও নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এ নিয়ে মন্তব্য করবে না চীন। এ ছাড়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময়ে বাংলাদেশে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আর চীনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের অবস্থান অভিন্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের পাঠ্য বইয়ে ও ওয়েবসাইটে চীন-অরুণাচল সীমান্তের ভুল মানচিত্র নিয়ে বেইজিংয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশ সরকারকেও জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের পদক্ষেপে চীনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রদূত।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions