শিরোনাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পার্বত্যবাসী অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে-ইউপিডিএফ বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণে দুর্নীতি: হাসিনার বিরুদ্ধে ফের তদন্ত শুরু হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি: দেশে-বিদেশে লেনদেনের সব নথি তলব গাজায় একদিনে নিহত আরও ৫৮ পরিচয় মিলল জাহাজে ডাকাতের হাতে নিহত ৭ জনের আ.লীগ আমলে আইসিটি খাতে অতিরিক্ত ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা- তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশের জালে জনপ্রশাসনে শর্ষের মধ্যে থাকা ভূত তাড়াতে জনগণই একমাত্র ভরসা-জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা,বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলায় ২০১১ সালে আসামি মুফতি হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে সস্পুরক চার্জশিট দেয়া হয়। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত বিচার করেছিলেন। তবে আদালতের ওই রায় বেআইনি ও অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট এসব কথা বলেন। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।

পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট আরও বলেন, এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন, এই মর্মে কোনো এভিডেন্স নেই। টর্চার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, একইসঙ্গে মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়ার নজির নেই।

আদালত বললেন, এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এর ফলে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন। আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions