শিরোনাম
গাজায় নিহত আরো ৬৩, সিটির ভেতরে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা কী ঘটছে অন্তরালে? দফায় দফায় বৈঠক পুনর্জীবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুড়িগঙ্গায় নারী-শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের মাছ, বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ করে দেওয়া হলো ১৬ টি জলকপাট রাঙ্গামাটিতে সাবেক রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা রাসেল রানাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় রাঙ্গামাটির ভেদভেদী নতুনপাড়ার রাস্তা ও মসজিদের গার্ডওয়ালের কাজ ১৭ বছরেও হয়নি চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী উইন স্টার ক্লাবের নেতৃত্বে শাহিন -দিদার- সুমন হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা খাগড়াছড়িতে নৃশংস হত্যাকান্ড: নিজ ঘরে মা-মেয়ের গলা কেটে হত্যা

হাসিনার আমলে বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে : টিআইবি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১১৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার আমলে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের পাচার সম্পদের অযৌক্তিক ঋণ ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক একটি সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরো বেশি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। যদিও হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে সেটাও বড় অর্জন হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছেন, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচ তারকা হোটেলে বসে ব্যাংক খাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব পলিসি শুধু ঘোষণা করতো। গ্রিনওয়াচ ঢাকার এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়েস্ট সিডনি ইউনিভার্সিটির এমিরেটস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions