ক্রীড়া ডেস্ক :- তাঁর ভক্ত-সমর্থকেরা চেয়েছেন, দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে খেলে অবসরের ইচ্ছে পূরণ হোক সাকিব আল হাসানের। তবে তাঁর বিরোধীরা চান না, তিনি দেশে আসুন। সে দাবিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট দল থেকে সাকিবের প্রত্যাহার চেয়ে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেছিলেন সাকিব। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় দুবাইয়ে থেমে যেতে হয়েছে তাঁকে। সেখান থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বিসিবির আশ্বাস পেয়েই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইচ্ছে এখন পূরণ হচ্ছে না। সাকিব নিজেই আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তাঁকে দেশে আসতে মানা করা হয়েছে।
সাকিবকে যে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরামর্শে দেশে আসতে মানা করা হয়েছে, সেটি উপদেষ্টার বিবৃতিতে পরিষ্কার, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ সিরিজে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোনো অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।’
দুবাই থেকে ঢাকায় আসতে মানা করা হয়েছে সাকিবকেদুবাই থেকে ঢাকায় আসতে মানা করা হয়েছে সাকিবকে
আসিফ মাহমুদের দাবি, তিনি চেয়েছিলেন সাকিব যেন দেশের মাঠে বিদায় নিতে পারেন। আসিফ তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে, যা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না। যারা প্রতিবাদ করছে, তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার। এই টেস্ট সামনে রেখে বিসিবি যে দল দিয়েছিল, তাতে সাকিবের নাম ছিল।