ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের সারি বাড়ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার পর নিউমার্কেট এলাকা থেকে আহত অবস্থায় তাদের চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়াও উপজেলা থেকেও গুরুতর আহতদের আনা হচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. মোমিন উল্লাহ ভুইঁয়া জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে কমপক্ষে ৪৫ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ। গুরুতর আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বেশিরভাগই মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। অনেকের হাতে-পায়েও আঘাত রয়েছে।
আহতরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মো. আলাউদ্দিন (২৬), নোয়াখালীর কবিরহাটের সোহরাব হোসেন (২২), ফয়সাল (২৫), আশরাফুল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), সৌরভ (২২), মনির (২২), চিশতী (২৮), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম (২২), মাঈনউদ্দিন (২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মাহবুব হোসেন (২৪), মো. মারফ (২৭), এহসান উল্যাহ (২৮), শাহীন (২৪), মো. শাহীন (২৬), শাকিব উদ্দিন (২০), আদিল (২৫), রিদোয়ান (২৪), সাকিব উদ্দিন (২৩), ফারুক (২০), কাঞ্চন চক্রবর্তী (৪৭) ও মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৮)।
এ ছাড়া সীতাকুণ্ড থেকে আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালে এসেছেন ২৭ জন। তারা হলেন- ফারহান (২৩), শুকুর (২০), অনিক (২৫), আবু তাহের (২৭), সুজন (৩৫), সাজ্জাদুল হক (২৭), জয়নাল আবেদিন (৩০), মো. কালাম উদ্দিন (২৭), রিমন (২২), নয়ন (৩২), রিমন (২২), নয়ন (৩২), বাবু (২০), মো. হাসান (১৯), মো. আসিফ (১৭), তাহমিদুল ইসলাম (২৩), আরিফ আহমেদ (৩৩), তপু (২৬), মো. কফিল (২৫), রবিউল আউয়াল (২৯), বাদশা (২৪), সাইফুল (৩৫), মো. ইমরান (১৯), পটিয়ায় আহত সাহেদ (২৩), মিন্টু চৌধুরী (৩৮), সুমন বিশ্বাস (২৬) ও মো. হাসান (২০)।
হাসপাতালের ভর্তি হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- মো. আলাউদ্দিন(২৬), সোহরাব হোসেন(২২), ফয়সাল(২৫), আশরাফুল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), সৌরভ(২২), মনির(২২), চিশতী (২৮), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম(২২), মাঈনউদ্দিন(২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মোঃমারুফ (২৭), মাহবুব হোসেন (২৪), এহসান উল্যাহ(২৮), মো. শাহীন (২৬), শাহীন (২৪), আদিল (২৫), শাকিব উদ্দিন (২৩), রিদোয়ান (২৪), সাকিব উদ্দিন (২৩), ফারুক(২০), জয়নাল আবেদীন, সাজিদুল হক ও আইনজীবী এসএম আবু তাহেরসহ আরও অনেকে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে অর্ধশত চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিক কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আহতদের স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন।