ডেস্ক রির্পোট:- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। তাঁরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা কোনো আপস করবে না। তাঁরা নিজ নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা পোস্টে এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
এর আগে, আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
তবে আলোচনার এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘যখন আমরা ডিবি অফিসে বন্দী ছিলাম তখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আন্দোলন স্থগিত করতে বলা হয়। এমনকি জোর করে গণভবনে নিয়া যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছিল। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আমরা অনশনে বসেছিলাম। আপসহীনতার মূল্য যদি মৃত্যুও হয় তাও পরিশোধ করতে প্রস্তুত আছি।’
আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ফেসবুকে বলেন, ‘খুনি সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে। যখন সময় ছিল তখন সরকার ব্লক রেড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দীদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাব না।’
অপর সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার দফাই আমাদের দফা।’ সমন্বয়কদের অন্যতম হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই। একদফা এখন সার্বজনীন। এর বাইরে আর কোনো আলাপ নেই।’
এদিকে সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।