রাঙ্গামাটি: প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যে ভরপুর অনিন্দ্য শহর রাঙ্গামাটিতে ১০ হাজার পর্যটক এসেছিলেন ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে। পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শেষ হলেও ঈদের আমেজ এখনো কাটছে না।
নগর জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা তাদের পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে ভিড় করছেন হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটিতে।
গত তিনদিনে রাঙ্গামাটিতে ১০ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, সুবলং ঝরণা দেখতে গেছেন। ফলে হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে।
প্রতিবারের মতো গত তিনদিনের ছুটিতে সাজেকে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক এসেছেন। পর্যটকদের এমন আগমনে জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা আয় করেছেন কোটি টাকারও বেশি।
পর্যটকরা বলছেন, প্রকৃতির এমন রূপ দেখে দেখে তাদের তৃষ্ণা না মেটায় ছুটি পেলেই ছুটে আসেন এ শহরে।
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসা পর্যটক নাহার জাহান বলেন, রাঙ্গামাটি অনেক সুন্দর। হ্রদে পানি বাড়ায় এর সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অনেক ভালো লেগেছে।
তার বান্ধবী সেতারা সেতু বলেন, এখানে না এলে বুঝতাম না, রাঙ্গামাটি এত মনোমুগ্ধকর সুন্দর। আবার আসব ছুটি পেলে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন ঘাটের ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী ও গাইড ফখরুল ইসলাম বলেন, গত তিনদিনে ভাল পর্যটক এসেছে। বোটের মালিকদের আয়ও বেড়েছে। আরও কয়েকদিন এ আয় অব্যাহত থাকবে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, বর্তমানে সত্তর ভাগ হোটেল-মোটেলে বুকিং রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ সংখ্যা আরও বাড়বে, ব্যবসাও ভালো হবে।
সাজেকের কুঁড়েঘর কটেজের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের গত তিনদিনের বন্ধে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক এসেছেন। এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীয়রা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মহিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে বিশেষ করে সাজেক এবং সুবলং ঝরণায় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
এ অঞ্চলে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার, আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটকদের জন্য সেবার মান বাড়াতে তারা আন্তরিকতার কমতি রাখছেন না। বাংলানিউজ