আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দায়িত্ব পালন করা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের এবারের ইউনেস্কোর প্রেস ফ্রিডম প্রাইজে ভূষিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক এই সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছে।
ইউনেস্কোর গণমাধ্যম পেশাদারদের আন্তর্জাতিক জুরির চেয়ারম্যান মাউরিসিও ওয়েইবেল ঘোষণার সময় বলেন, ‘অন্ধকার ও আশাহীনতার এই সময়ে, আমরা সেইসব ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি জানাতে চাই। যারা এই ধরনের বিপজ্জনক নাটকীয় পরিস্থিতিতেও আমাদের সামনে সংকটকে তুলে ধরছে।’
এই পুরস্কার জয় উপলক্ষে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাফায় কর্মরত আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম বলেন, ‘আমি পুরো ভূখণ্ড জুড়ে সব ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের অভিবাদন ও ধন্যবাদ বার্তা পাঠাতে চাই। শুধু গাজাতেই কর্মরতরা নন, যারা পুরো বিশ্বে সত্যকে পৌঁছে দিতে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকেও কাজ করছেন।’
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম অফিস বলছে, নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৪০ জনেরও বেশি।
এদিকে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবারও গাজার রাফা শহরের এক আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি সেনাদের বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪ জনই শিশু।
জাতিসংঘ বলছে, গাজা শহর যুদ্ধে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমনটা দেখেনি পৃথিবীবাসী। পুরো শহরকে পূর্ণনির্মাণ করতে ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ লাগবে। এ ছাড়া সময় লাগবে ৮০ বছর।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। তারা সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্পও তৈরি করেছে। গত বৃহস্পতিবার কুইবেক রাজ্যের প্রিমিয়ার ফ্রাঁসোয়া লেগল্ট পুলিশকে এসব ক্যাম্প ভেঙে ফেলার অনুরোধ করেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা