ডেস্ক রির্পোট:- বাংলায় তৃতীয় দফার ভোটের আগে পুরোদস্তুর ধর্মীয় মেরুকরণের রাস্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্ধমানের সভা থেকে সরাসরি মোদি অভিযোগ করলেন, তৃণমূলের শাসনে বাংলায় হিন্দুরা দ্বিতীয় সারির নাগরিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রকাশ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়। মোদির প্রশ্ন, বাংলায় হিন্দুদের এ কী হাল হয়েছে!
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য ভোটে লড়ছে না। ওরা শুধু বিভাজন বোঝে। মোদি বর্ধমানের সভা থেকে রাখঢাক না করেই বলে দিলেন, ‘আমি টিভিতে দেখেছি তৃণমূলের এক বিধায়ক খোলাখুলি হুমকি দিয়েছে। বলেছে হিন্দুদের দু ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। এটা কেমন ভাষা ভাই! হিন্দুদের ভাসিয়ে দেব? সত্যিই বাংলায় হিন্দুদের এ কী অবস্থা। মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় সারির নাগরিক করে রেখেছে।’
মোদির প্রশ্ন, ‘এরা কেমন মানুষ? জয় শ্রীরামের ধ্বনি শুনলে আপত্তি করে, এরা রামমন্দিরের উদ্বোধনে আপত্তি করে। এরা রামনবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি করে!’ মোদির অভিযোগ, সন্দেশখালি মহিলাদের সঙ্গে দুষ্কর্ম করা শাহজাহানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর মধ্যেও ধর্মীয় বিভাজনের তত্ত্ব খুঁজে পেয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘অপরাধীর নাম শাহজাহান বলেই কী তাঁকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল?’
মোদির দাবি, ইন্ডিয়া জোটের কাছে দেশের জন্য কোনও ভিশন নেই। ওরা শুধু ধর্মের নামে দেশটাকে বিভক্ত করতে চায়। তৃণমূল তোষণে ব্যস্ত। মোদির প্রশ্ন, ভোটব্যাঙ্ক কি মানুষের জীবনের থেকেও বড়? ভোটব্যাঙ্ক কি মানবধর্মের থেকেও বড়? তার অভিযোগ, ‘কংগ্রেসের লোকেরা প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে ভোট জেহাদ করার কথা বলছে। আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে গোপনে এই ভোট জেহাদ চলছে। এবার প্রকাশ্যেই এরা ভোট জেহাদের কথা বলছে। অথচ ভোট জেহাদকে সমর্থন করছে ইন্ডিয়া জোট।’