রাঙ্গামাটি :- রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান ও মৌজা প্রধান তথা হেডম্যানদের বিরুদ্ধে সীল, স্বাক্ষর, প্রত্যয়নপত্রসহ কাগজপত্রের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য ১শত টাকা থেকে ৩শত টাকা, হেডম্যান প্রতিবেদনের জন্য ৩শত থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এছাড়াও রোহিঙ্গা নই এমন সনদ প্রাপ্তদের কাগজপত্র তৈরিতেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় ও নতুন ভোটারেরা।
৩২৭ নং গাইন্দ্যার মৌজার হেডম্যান, (মৌজা প্রধান) বাথোয়াই মারমা বলেন, অহেতুক অভিযোগ দিচ্ছে আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার বিষয়ে। আমি কোন অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি না। নিবার্চন কমিশন ঘোষিত নতুন ভোটার হওয়ার যাহা যাহা প্রযোজ্য চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র হেডম্যান প্রতিবেদন হোল্ডিং টেক্সের ভাউচার সহ বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র তৈরি করতে গিয়ে এমনই হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের হোসনে আরা নামক এক মহিলা জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আসলে আমি তাকে নিয়ম অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করার জন্য বলি, অন্যায় ভাবে টাকা চাওয়ার প্রশ্নে উঠেনা। আমি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়ম অনুযায়ী টাকা নিচ্ছি।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে আমি অতিরিক্ত টাকা নেব সে রকম কোন নজির নেই।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি যাতে জনগণের কোনধরনের ভোগান্তি ও অসুবিধার সম্মুখীন না হয়। গতকাল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলার মাসিক মিটিংয়ে এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিষয়টি নিয়ে ৩০ জানুযারী বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে উপজেলার নয় মৌজার প্রধানদের নিয়ে আলোচনা করা হয়।