খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে এবারও বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রাখা হয়েছে। যদিও খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে শর্ত শিথিল করে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার বিকেলে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুই শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত থাকবে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হতে যাচ্ছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের ব্যাপারে মতামত দিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

বিএনপি নেত্রীর পরিবারের এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বরাবরের মতো এবারও তাঁদের আবেদনে খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ চাওয়া হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।

সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকা খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা না-পারার প্রশ্নে সরকারের অন্তত চারজন মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তাঁদের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য একই রকম। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্ত থাকার শর্তে যা আছে, তাতে তাঁর রাজনীতি করতে বাধা নেই। কিন্তু সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ—এই তিনজন মনে করেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকায় খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না।

খালেদা জিয়ার রাজনীতি নিয়ে হঠাৎ মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যে শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে বিএনপি। দলটির নেতারা এসব বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে সরকারের দিক থেকে তাঁর রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions