ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবিবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমানে সখ্য না থাকায় জামায়াতে ইসলামী দলটির ভাষায় জঙ্গি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের পূর্ব সখ্যর ইতিহাস তুলে ধরে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হয় সঙ্গী, না হয় জঙ্গি’ নীতিতে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ আজকে যাদের নিষিদ্ধ করতে চায়, সেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্য সর্বজনবিদিত। তাঁরা (জামায়াত) আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গী নেই বলে আওয়ামী ভাষায় জঙ্গি হয়ে গেছে।
যদিও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে নিন্দনীয়, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গণহত্যা, নৃশংসতা, ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্মম-নির্দয় দমন নিপীড়নের জন্য দেশে-বিদেশে যখন প্রতিবাদ, ধিক্কার জানানো হচ্ছে, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও চাপে রাখতে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত ছাড়াই নিজেদের দায় দায়িত্ব বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে রাজনৈতিক দল বা সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। এই সাংবিধানিক অধিকারবলে তারা যে কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন করতেই পারেন। আন্তর্জাতিক মানের ন্যায়সংগত ও বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ কোনো তদন্ত ছাড়াই কোনো রাজনৈতিক দলকে অপবাদ দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অন্যায় এবং সংবিধান সম্মত নয়। সরকার এসব অগণতান্ত্রিক কাজ করে এক দফা আন্দোলন থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে পারবে না। আমরা দল মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকলকে রাষ্ট্রঘাতি-প্রাণঘাতী সরকারের পতনের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে বর্বরোচিত গণহত্যার দায়ে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের চলমান ইস্যুকে ধামাচাপা দিতে নতুন বিতর্ক, নতুন ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে, যা বুমেরাং হতে বাধ্য। পরিকল্পিতভাবে নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর পুরোনো কার্ড নতুন করে খেলে আওয়ামী লীগ জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারবে না। শত শত ছাত্র, কিশোর, যুবক, শিশুসহ জনতার রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’