ডেস্ক রির্পোট:- মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় তারা ধর্ষণ, শিরশ্ছেদসহ কমপক্ষে ১৭ জনকে হত্যা করে।
দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং নামক গ্রামে সেনাবাহিনী এ তাণ্ডব চালায়।
মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের রবাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহের এ হামলায় জড়িত ৯০ জনেরও বেশি সৈন্য জড়িত ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি হেলিকপ্টারে করে এসব সৈন্যকে ওই এলাকায় আনা হয়।
গ্রামবাসী বলছে, গত বৃহস্পতিবার নিয়াং ইয়িনের একটি নদীর মধ্যে অবস্থিত ছোট দ্বীপে তিন নারীসহ ১৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর দুই সদস্যসহ টার তাইংয়ে আরো তিনজন পুরুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। ওই দুজনের মধ্যে একজনের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।
টার তাইংয়ের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী মো কিয়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই আক্রমণ থেকে বেঁচে যান। অবশ্য মো কিয়াও হামলা থেকে নিজে বাঁচলেও তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী প্যান থাওয়াল এবং ১৮ বছর বয়সী ভাতিজা সেনা সদস্যদের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন। ফোনে যোগাযোগ করা হলে গত শুক্রবার তিনি বলেন, গত বুধবার মধ্যরাতে সৈন্যদের হাতে আটক হওয়া ৭০ জন গ্রামবাসীর মধ্যে তারা ছিলেন। পরে তাদের বন্দি করে স্থানীয় বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায় সেনারা।
মো কিয়াও বলছেন, সৈন্যরা তার খালার ছোট দোকান থেকে বিয়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে। পরে তারা তার খালাকে মারধর শুরু করলে নিজের জীবন বাঁচাতে তিনি (মো) পালিয়ে যান। যদিও দুই সৈন্য তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল।
৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি আরও বলেন, তার স্ত্রী এবং অন্যান্য গ্রামবাসীদের ওই বৌদ্ধ মঠে নির্যাতন করা হয় এবং পরে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায়। সূত্র: পিবিএস, এপি