শিরোনাম
বিশ্বব্যাংক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এখনো বহাল,ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা সচিবদের ক্ষমতা! ৯ কারাগারে ৭৫ ভিআইপি বন্দী,আসাদুজ্জামান নূর ও কামাল মজুমদার হাসপাতালে জাতীয় ঐক্যের ডাক সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ গুরুত্ব পাচ্ছে ২০ বিষয় রাঙ্গামাটি পৌর প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বন্ধ, পৌর সম্পদ দখলের ষড়যন্ত্র, ১২ কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ পেতে চাপ সৃষ্টি করছে বিএনপি খাগড়াছড়িতে ঘরে ঢুকে নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা,স্বর্ণালঙ্কার চুরি শেখ হাসিনা আবারো রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছেন! ‘ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পুলিশকে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে’–খাগড়াছড়িতে রেঞ্জের ডিআইজ রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ডিজিএফআই এর কর্নেলের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত অবশেষে আপন নীড়ে অসহায় সেই বৃদ্ধ

উপদেষ্টার নির্দেশনায় সচিবের অনীহা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭৪ দেখা হয়েছে

টিআর-কাবিটায় লুটপাট ঘর নির্মাণে দুর্নীতি প্রকল্পের তালিকা চেয়ে জেলায়-জেলায় চিঠি দলবাজ পিআইওদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে না

ডেস্ক রির্পোট:- গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারে আমলে সারাদেশে টিআর-কাবিটায় লুটপাট-অনিয়ম এবং গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর বিতরণে নামে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নামে নাটক করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ের সাবেক ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে দলবাজ জেলা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা (পিআইও) এসব অনিয়য়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে এসব পিআইওদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। অন্যদিক গত দুই অর্থবছরে কত গুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর তালিকা চেয়ে জেলা- উপজেলায় চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যক্তিগত মালিকানা জমি খাস দেখিয়ে গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে বগুড়াতে ৪৫৪টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে সোনাতলা উজেলায় ৬১টি ঘর ব্যক্তি মালিকানা জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। সারাদেশে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাট ও দুর্নীতির জন্য চতুর্থবারের মতো প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। যে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চতুর্থ সংশোধনীর পর প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এতেই প্রমাণীত হয় যে কি ভাবে এ প্রকল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় করা হয়েছে ১ হাজার ৪৯২কোটি টাকা। টি আর বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। কাবিখা চাল বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ মে.টন এবং কারিখা গম বরাদ্দ ১ লাখ মে.টন ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কাবিটা বরাদ্দ ১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা এবং টিআর ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় করা হয়েছে ১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পের বেশি ভাগই কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। জেলা ও উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ের সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে পিআইওদের অনেকে এসব অনিয়ম করছেন। কেউ কেউ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অগ্রিম টাকাও ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সচিত্র প্রমাণসহ অভিযোগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বদলি ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে। কিন্তু প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের বিশেষ সখ্য থাকায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায়। এ ছাড়া অনেকের ফাইলই চাপা পড়ে থাকে সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় বদলি করা হলেও অনেকে সেখানে যোগদান না করে তদবিরের মাধ্যমে বদলি স্থগিত করান। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে সত্যতাও পেয়েছে। আবার আত্মসাতের টাকা জমা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে এই দুই অর্থ বছরে কোন জেলায় কি পরিমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে তার তালিকাসহ মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৪৯৫ উপজেলায় ১৭ ধরনের সরকারি কর্মসূচি বা প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম করলেও পতিত সরকারে দোসর জেলা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)দের মাঠ থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি। ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগীদের দাপটে থাকা কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, দেবেশ চন্দ্র দাসসহ শতাধিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে মন্ত্রণালয়ে সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আবার অনেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দেয়ার নামে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকারে গত ৫ আগষ্ট বিদায় নেয়ার কারণে উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছেন উপদেষ্টা। সরকারি বরাদ্দ না দেয়া কারণে অনেক দলবাজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে টিআর, কাবিখা ও কাবিটার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ চিত্র গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছে বলে জানা গেছে।

সারাদেশে দুর্নীতিবাজ এবং দলবাজ জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম নিদেশনা দিলেও তা এক মাসেও বাস্তবায়ন করেনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান। উল্টো দলবাজ জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের রক্ষায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, আমার বারা মারা গেছে আমি নীলফামারীতে আছি। তার পরে তিনি বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিআর, কাবিখা ও কাবিটার প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহহীনদের বিনা মূল্যে ঘর দেওয়ার জন্য গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে এদিন ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করেন। নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারা দেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি এবং উপজেলা হয়েছে ৪৬৪টি। জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে পিআইওদের অনেকে এসব অনিয়ম করছেন। কেউ কেউ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অগ্রিম টাকাও ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সচিত্র প্রমাণসহ অভিযোগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বদলি ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে। কিন্তু প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের বিশেষ সখ্য থাকায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায়। এ ছাড়া অনেকের ফাইলই চাপা পড়ে থাকে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় বদলি করা হলেও অনেকে সেখানে যোগদান না করে তদবিরের মাধ্যমে বদলি স্থগিত করান। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে সত্যতাও মিলেছে। আত্মসাতের টাকা জমা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও তারা অপ্রতিরোধ্য।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের বিভিন্ন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ তার দপ্তরে আসছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে পার পাবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা গত ২০১৭-১৮ সালের টিআর কর্মসূচির আওতায় তিনটি অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের বিল ভাউচার তৈরি করে কমিটির যোগসাজশে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ বিষয়ে দুদকের তদন্তে সত্যতা মেলায় তিনি সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (খ) ও (গ) ধারায় বিভাগীয় মামলা করা হয়। তার তিন বছরের বর্ধিত বেতন কর্তন করেছে মন্ত্রণালয়। বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেন যে, তিনি প্রকল্প পরিদর্শন না করেই বিল ভাউচার করেছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তার তিন বছরের বর্ধিত বেতন কর্তন করা হয়। এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এটা ভুলবশত হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প হয়ে আসে। এর মধ্যে দুটি ডাবল প্রকল্প ছিল। না দেখার কারণে এমনটি হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এর আগে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে বান্দরবান সদর উপজেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু বান্দরবানে যোগদান না করায় তাকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।

গত ২০১৫ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ঘুষ-দুর্নীতির দায়ে তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভাগীয় পাঁচটি মামলা হয়। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। সাবেক উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবি করেন। এর আগে ওই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টির চেয়ারম্যানরা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন পিআইওর বিরুদ্ধে। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে বিল উত্তোলনও করেন তিনি। এ ছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পগুলোতে ২০ শতাংশ কমিশন শর্তে বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন এই পিআইওÑ এমন অভিযোগও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি প্রকল্প থেকে মানুষের কাছ থেকে দুই-তিন হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ ওঠেছে। এ টাকা সংগ্রহ করে থাকেন পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক। কেউ ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। দীর্ঘদিন প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে ঘুষবাণিজ্য চালালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে ৩১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসবের কথা বলে কয়েক লাখ টাকা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)-এর অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে বানিয়াচং পিআইও অফিস ঘুষ-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে ভাগাভাগির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। অনেক জেলা বা উপজেলায় প্রকল্পের কাজ না করে টাকা তুলে নিয়েছেন এমন শত শত অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে রয়েছে। অথচ এসব অভিযোগের কোনো তদন্ত হচ্ছে না। ফলে তারা আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একদিকে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগসাজশ, অন্যদিকে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিশেষ সিন্ডিকেট তাদের রক্ষা করার জন্য দীর্ঘ সময় ফাইল চাপা দিয়ে রাখছে। দুর্যোগ মোকাবেলা যাদের কাজ, সেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর নিজেই ধুঁকছে বহু বছর। প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরেও তাদের সক্ষমতা বাড়েনি।ইনকিলাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions