রাঙ্গামাটি:- লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদী গিয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে বাস করা মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে ও নদী পারাপারে নৌকা বা সাম্পান ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু শীত মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নৌকা চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ভাটার সময় নদীর বুকে যখন চর জেগে উঠে তখন অনেকটা পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ঘাট গিয়ে দেখা যায় নদীর মাঝখানে চর জেগেছে। এ সময় চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌপথে চলাচল করা নৌকার মাঝিদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকটা পথ ঘুরে যাত্রী পারাপার করতে হচ্ছে।
কথা হয় এই নৌপথে চলাচলকারী মাঝি আব্দুল গফুর, বাচা মিস্ত্রি ও দোলন দের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, শীত মৌসুমের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কর্ণফুলী নদীর পানি কমে যায়। নদীর নাব্যতা-সংকট দেখা দেয়। ভাটার সময় নদীর বুকে চর জেগে উঠে। যার ফলে অনেক সময় নদীতে সাম্পান আটকে যায়।
কাপ্তাইয়ের রাইখালী সাম্পান ঘাটের লাইনম্যান আসিফ বলেন, নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় যেখানে পানির গভীরতা আছে, সেই পথ পাড়ি দিয়ে সাম্পান চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে সময় বাড়ছে এবং জ্বালানি তেল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে।
এই পথে চলাচলকারী রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার এবং রাইখালী জুমিয়া পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কান্তি দাশ জানান, বিশেষ করে শীত মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হয়। ঘুরে ঘাট পার হতে হয় তাঁদের।
রাঙ্গামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা-সংকট দেখা দেয়। ভবিষ্যতে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং করার পরিকল্পনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের রয়েছে। আজকের পত্রিকা