চট্টগ্রাম:- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদত হোসেন বলেছেন. “চট্টগ্রাম শহর ৭০ লক্ষ জনসাধারণের শহর। এ কারনে নগরীর পরিস্কার পরি”ন্নতা, প্লাস্টিক বর্জ ও যানজটসহ আরো নানান সমস্যা নিরসনে জনগন ও সিটি করপোরেশনকে এক যোগে কাজ করতে হবে। ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্যাব নাগরিক সমস্যাগুলো সমাধানে সদা সচেষ্ট আছে। সেজন্য ক্যাব নেতৃবৃন্দের প্রতি নগরবাসীর আস্থা ও প্রত্যাশা অনেক বেশি। ক্যাব এর ১৬ দফা দাবিগুলো সমর্থনযোগ্য। যথাসম্ভব প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনের সচেষ্ট থাকবে। এই শহর শুধু আমার একার নয়, এটি আমাদের সবার। তাই এই শহরের সৌন্দর্র্য্য রক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে। ক্যাবের পক্ষে নগরীর ১৭টি বাজার পরিদর্শন করে আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে করনীয় বিষয়ে আমার কাছে প্রতিবেদন পেশ ও প্রতিটি বাজারের সার্বিক তথ্য মনিটরিং করে উপস্থাপনের করবেন। ৪১ ওয়ার্ডে সিএলসিসি কমিটিতে ক্যাবের ১ জন সদস্যকে সদস্য করা হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এসবের কারণে সবখানে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হচ্ছে। নির্দিষ্ট বাজারের বাইরে ফুটপাতের হকার ও ভাসমান বিক্রেতাদের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে জনমত গড়ে তুলতে সিটি করপোরেশনকে সহায়তা প্রদানের করতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করে জনগণের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করার প্রত্যয় পুনরায় ব্যক্ত করেন। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে সেবা পেতে ভোগান্তি পেলে সরাসরি আমার নজরে আনার আহবান জানাই।
গতকাল ১৯ ডিসেম্বর টাইগারপাস্থ সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদত হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মতবিনিময় সভায় ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, বিভাগীয় সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, আবু মোশারফ রাসেল, চান্দগাঁও থানা সভাপতি মো. জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, সদরঘাট থানা সভাপতি মো. শাহীন চৌধুরী, পাঁচলাাইশ থানা সভাপতি সায়মা হক, আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নরেন সাহা, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, আবদুল আওয়াল, হাটহাজারী উপজেলার
লায়লা ইয়াছমিন, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুগ্ন সম্পাদক রাসেল উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, ক্যাব সদস্য এম এ হোসাইন, সাজ্জাদ উদ্দীন, ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী অ্যানেল, ক্যাব জামালখানের হেলাল চৌধুরী, ক্যাব বোয়ালখালীর উপষ্টো নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, ক্যাব বায়েজিদের নাসিমা আলম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ আলী মির্জা ও সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর প্রমূখ।
সিটি মেয়র অরো বলেন, “নালা-নর্দমা পরিষ্কার, অবৈধ স্থাপনা, হকার্স উচ্ছেদে সিটি করপোরেশন কাজ করছে এবং এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। যে কোন অনৈতিক কাজ ও অন্যায়ের প্রতিবাদে সকলকে একযোগে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধেই সমাজ থেকে অন্যায় ও অনিয়ম বন্ধ হবে। মানসম্মত শিক্ষার নিশ্চিতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও খেলাধুলার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যৌথভাবে সভা করে করনীয় নির্ধারন করা হবে। একই সাথে নগরীর বাজারগুলির মনিটরিং এর তৎপরতা আরও জোরদার করা এবং ক্যাবকে এ কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা হবে।”
তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে রাজস্ব বিভাগের হয়রানি রোধে আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আপিল বোর্ড ও ভোক্তা অধিকার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ক্যাব প্রতিনিধি যুক্ত করা এবং নাগরিক ভোগান্তি রোধে ত্রিপাক্ষিক গণশুণানীর আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষন করেন।
বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ক্লিন, গ্রীণ ও হেলদি নগরীতে রূপান্তরে ক্যাব থেকে ১৬ দফা প্রস্তাবনা মেয়রের হাতে তুলে দেয়া হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি