শিরোনাম
পাহাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া ডিম ফুটিয়ে গড়েছে বনমোরগের খামার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন,প্রথম খসড়া তালিকায় নিহত ৮৫৮ জন, আহত সাড়ে ১১ হাজার আনুপাতিক হারে জাতীয় নির্বাচনের চিন্তা, বিএনপি কোন পথে সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি মঞ্চ প্রস্তুত আরেকটি এক-এগারোর? আসছে হাসিনা আমলের চেয়ে বড় বাজেট,আকার হতে পারে ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ফের আন্দোলনে নামছে বিএনপি,দ্রুত সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি, চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি প্রশাসনিক সংস্কারে ডিসিদের আপত্তি! বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন, জয়া আহসান ও ফাহিম আহমেদ

মানিকছড়িতে কার্পাস তুলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৮২ দেখা হয়েছে

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি):- পাহাড়ে একসময় সরকারের রাজস্ব বাজেট প্রকল্প ও তুলার গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পে কার্পাস তুলা চাষে কৃষকদের সম্পৃক্ত করতে বেগ পেতে হতো। বিশেষ করে উৎপাদিত তুলা বাজারজাতের অনিশ্চয়তাই ছিল অনাগ্রহের প্রধান কারণ। ফলে সরকার তুলা চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করতে প্রণোদনায় বীজ, সার, ওষুধ ও উৎপাদিত তুলা বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়ায় চলতি মৌসুমে কার্পাস তুলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, সরকারের পাশাপাশি ‘দারিদ্র্যবিমোচন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে তুলা উৎপাদনের প্রণোদনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ফলে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় কার্পাস তুলার চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে তিনটি প্রকল্প ও ব্যক্তি পর্যায়ে ২৫ হেক্টর জমিতে অন্তত ৪০ জন কৃষক তুলা চাষ করেছেন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৭ দশমিক ৫০০ কেজি। বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি ৯০ টাকা হারে কৃষকের সম্ভাব্য আয় হবে ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘উপজেলায় অনেক আগে থেকেই রাজস্ব বাজেট প্রকল্প ও তুলা গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পে কার্পাস তুলা চাষ করা হতো। উৎপাদিত তুলা বাজারজাতে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকেরা তুলা উৎপাদনে অনাগ্রহ দেখান। ফলে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা ও পর্যালোচনায় তুলা চাষে প্রণোদনাসহ উৎপাদিত তুলা বাজারজাতে নিশ্চয়তা দেয় সরকার। একই সঙ্গে সরকারিভাবে বীজ, সার, ওষুধ (প্রণোদনা) ও উৎপাদিত তুলা ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়ায় পাল্টে যায় প্রান্তিক কৃষকের চিন্তাধারা।’

ইউনিট কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় রাজস্ব বাজেট প্রকল্পে ২ হেক্টর, তুলার গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হেক্টর, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দারিদ্র্যবিমোচন শীর্ষক প্রকল্পে ১ হেক্টর ও ব্যক্তি উদ্যোগে ২০ হেক্টরসহ মোট ২৫ হেক্টর জমিতে অন্তত ৪০ জন কৃষক তুলা চাষ করেছেন।’

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড দারিদ্র্যবিমোচন শীর্ষক প্রকল্পের সহকারী কটন ইউনিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনাসহ উৎপাদিত তুলা বাজারজাতে নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই মানুষ এখন আগ্রহ নিয়ে কার্পাস তুলা চাষ করছেন।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions