ডেস্ক রির্পোট:- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক সমন্বয়কদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
নেতারা বলেন, শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ককে তুলে নেয়ার পরে শনিবার রাতে আবারও আরও ২ সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তাদের সকলকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ব্লক রেইডের নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কায়দায় রাতের গভীরে চিরুনি অভিযান চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের আটক করা অবিলম্বে বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের অপপ্রয়াসের পর সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে ব্লক রেইডের নামে হানাদার বাহিনীর কায়দায় চিরুনি অভিযান এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করার পরও দফায় দফায় ছাত্রনেতাদের তুলে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এই যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের এক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।