বান্দরবান:- দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৈক্ষ্যং রাস্তার মাথা সংলগ্ন চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী সড়ক থেকে মংচিং হেডম্যান পাড়া এলাকা হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল বারেক এর বাড়ি হয়ে আথুইশৈ মারমা কারবারি পাড়া পর্যন্ত একমাত্র সড়কের অবস্থা বেহাল দশা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মংচিং হেডম্যান পাড়া, ছিদ্দিক কারবারি পাড়া, আথুইশৈ কারবারি পাড়া,কলার ঝিরি এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত মংচিং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা, মাদরাসার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী, কলকারখানার শ্রমিকসহ স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করছেন। কিন্তু বছর খানেক ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিনি টমটম ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি খাই খন্দকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে এই সড়কটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে এক বার সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই সড়কটি উৎসর্গ করা হয়ে ছিল বলে জানা যায়। তবে কয়েক বছর যেতে না যেতেই সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে এখন বেশির অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।
ব্যাটারি চালিত টমটম চালক মো. রানা বলেন, অটো চালিয়েই চলে আমার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশির ভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. সোহেল বলেন, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। না হয় সামনের ভরা বর্ষায় আরো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা হতে পারে বলে জানান তিনি।
মংচিং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ও শারমিন আক্তার বলেন, আমরা এ সড়কটি দিয়ে চলতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। কোন কোন সময় গর্তের পানি গায়ে পড়ে স্কুলের পোষাক ও বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা চায় এ সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে আমাদের কষ্ট লাগব করুক। তাই সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, এই সড়কটি বেহাল অবস্থায় আছে। এটি ইউনিয়নের বাজেট দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব নয়। এর আগে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। তারা চাইলে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
সড়কটি জেলা পরিষদ থেকে সংস্কার করা হবে কি না জানতে চাইলে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়ি মং মারমা বলেন, আগামী অর্থ বছরে বাজেটে এই সড়কটি সংস্কার করার জন্য জেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।