রাঙ্গামাটি:- পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন সন্ত্রাসীদের দমনে যৌথ অভিযানে কোনও নিরীহ অধিবাসী যেন হেনস্তার শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি। এ বিষয়ে কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির গত বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার করা ২৪০টি ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজকের বৈঠকে আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদার) আবুল হাসানাত গণমাধ্যমকে বলেন, পাবর্ত্য এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে।
বৈঠকের পর সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন সন্ত্রাসীদের দমনের সময় কোনও নিরীহ অধিবাসী যেন হেনস্তার স্বীকার না হয় সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত বিভাগ/দফতরগুলোর সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
বৈঠকে ভূমি সচিব ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে কমিটিকে অবহিত করেন এবং পার্বত্য অঞ্চলে ডিজিটাল ভূমি জরিপ ব্যবস্থা কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তাব করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের শূন্য পদে পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসী যারা বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মরত আছেন এমন কর্মকর্তাদের প্রেষণে পদায়নের কাজ অব্যাহত রাখার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও সুদত্ত চাকমা অংশ নেন। আহ্বায়কের বিশেষ আমন্ত্রণে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।