ডেস্ক রির্পোট:- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে নারীসহ ১৫ জনেরও অধিক শিক্ষার্থীকে আটক করায় আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি ও দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আমরণ গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ৩৫ প্রত্যাশীরা।
শনিবার (১১ মে) রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন তারা। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ঝটিকা মিছিল করেন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি থেকে আমাদের সহকর্মীদেরকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি। যে পর্যন্ত তাদেরকে মুক্তি না দেওয়া হবে এবং চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করে প্রজ্ঞাপন না জারি করা হবে, সেই পর্যন্ত আমরা এই মুহূর্ত থেকে গণঅনশন কর্মসূচি চালিয়েই যাবো।
এর আগে, শনিবার দুপুরে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরতদের দাবিসমূহ উত্থাপন করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশাল এক সমাবেশের আয়োজন করা হয় এবং তা শেষ হলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত গেলে পুলিশের বাধা প্রদান ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এবং ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরতরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ জনকে আটক করা হয়।
৪ জন নারী শিক্ষার্থীসহ আটককৃত ১৪ জন হলেন- ১. সুলতানা সিদ্দিকী, সাংবাদিক; ২. রিমা, সাবেক ছাত্রী, নরসিংদী সরকারি কলেজ; ৩. বৃষ্টি, সাবেক ছাত্রী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; ৪. ফাতেমা আক্তার সাথী, মিরপুর; ৫. আলামিন, সাবেক ছাত্র, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়; ৬. নূর মোহাম্মদ নূর, সরকারি বাংলা কলেজ; ৭. হুমায়ুন কবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ৮. মানিক দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ; ৯. মো. রাসেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; ১০. শেখ ফরিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়; ১১. আজম মোহাম্মদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ১২. মামুনুর রশিদ, ঢাকা কলেজ; ১৩. সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা কলেজ; ১৪. আব্দুল হাকিম, মুহসীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, চাকরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৩৫, বিজেএস-ডাক্তার-মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩৭, পুলিশের এস আই ও সার্জেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। সবশেষ শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে সুপারিশ করেন।