শিরোনাম
গুম-খুন-কারা নির্যাতিত বিএনপিস্বজনদের আহাজারি,বাঁচার অধিকার না থাকলে সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন তপশিল বাতিল চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের ৩ প্রস্তাব মানবাধিকার নিয়ে হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দেওয়া যাবে না স্বতন্ত্র আতঙ্কে নৌকা রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা ফিরে আসবে এমন নির্বাচন দরকার চরম সংকটে পরিবার চাকরি, ব্যবসা লাটে বাদ পড়লেন শ্বশুর-জামাতা বোর্ড পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাসের হার হ্রাস পাওয়ায় পিসিপির উদ্বেগ প্রকাশ অবিলম্বে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা ও শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি ভারতে মেরুকরণের অস্ত্র হতে পারে সিএএ এবার রাজপথে নামবে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাদের পরিবারের সদস্যরা

খাগড়াছড়িতে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭৩ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। ১৩ মার্চ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর (বিকে) উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

মো. তফাজ্জল হোসেন মাটিরাঙা উপজেলার গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের বিষয়টি শিকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন আক্তার বলেন, ‘ঘটনার দিন একটি শ্রেণিকক্ষে আমি পাঠদান করাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শ্রেণিকক্ষের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন। চেয়ারম্যান বাচ্চাদের পাঠ্যবই থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং রিডিং পড়তে বলেন। বই থেকে বিভিন্ন শব্দার্থ জিজ্ঞাসা করেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে রিডিং পড়তে পারে নাই। পরে চেয়ারম্যান রেগে যান।’

শারমিন আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে আমাকে বেত নিয়ে আসতে বললে বিদ্যালয়ের বেতের ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে আমি তাঁকে জানাই। বিদ্যালয়ে বেত না থাকায় আমাকে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে আসতে বাধ্য করেন। পরে তিনি কঞ্চি দিয়ে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীকে পেটান।’

ওই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘ক্লাসের সময়ে চেয়ারম্যান পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকেন। আমরা সবাই ভয় পেয়ে যাই। ইংরেজি ক্লাস নেন কোন স্যার সেটা জিজ্ঞাসা করেন। পাঠ্যবই থেকে আমাদের পড়া ধরেছেন। আমরা কোনো কথা বলি নাই। উনি আমাদের গালিগালাজ করেন। আমাদের পড়ালেখার করার জন্য নিষেধ করেছেন। ম্যাডামকে বেত আনতে বলেছেন। পরে ওই বেত দিয়ে আমাদের মেরেছেন।’

শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে কারও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে অনুমতি লাগে। তিনি কারও কাছ থেকে অনুমতি নেননি। ওই দিনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। উত্তর দিতে না পারায় তাঁদের বেত্রাঘাত করেন তিনি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, ‘যেদিন চেয়ারম্যান ক্লাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটান সেদিন আমি দাপ্তরিক কাজে মাটিরাঙা উপজেলা সদরে গিয়েছিলাম। পরে বিদ্যালয়ে আসার পর আমি ঘটনা জানতে পারি। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে আমার অনুমতির বাইরের কেউ ক্লাসে প্রবেশ করতে পারেন না। আর ক্লাসে ঢুকে শিক্ষার্থীরে পেটানোর কোনো বিধান নেই। বিদ্যালয়ে আমরা বেতও রাখি না।’

শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি মেজাজ হারিয়ে এই কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছি। এ সময় শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে কোনো কথাই বলেনি। পরে ম্যাডামকে বেত আনতে বলেছি। সামনের বেঞ্চের শিক্ষার্থীদের চিকন একটা কঞ্চি দিয়ে আঘাত করেছি। আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তারা আমার সঙ্গে কথা না বলায় মেজাজ হারিয়েছি।’

এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বেত্রাঘাতের শিকার শিক্ষার্থীরা এবং তাঁদের অভিভাবকেরা আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিব।’

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions