বান্দরবান:- বান্দরবানে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত সাড়ে তিন মাসে জেলায় মোট ৯২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গত ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ২৭১ জন। গত সপ্তাহে জেলায় গড়ে ২০ জনের কম আক্রান্ত হলেও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২২ জন। তবে সিভিল সার্জন বান্দরবানের ডেঙ্গু ভয়াবহ বলতে নারাজ। জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট থেকে গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯২১ জন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি, ৩২৬ জন। এরপরেই রোয়াংছড়ি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি আছে মাত্র সাত-আটজন। বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
গত এক সপ্তাহে জেলায় ডেঙ্গুতে নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ জন। তবে গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, বান্দরবানে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক। ডেঙ্গুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।তবে আক্রান্তের পর প্লাজমা লিকেজ ডেঙ্গু ভয়ংকর করছে। এবার যারা আক্রান্ত হচ্ছে, ভবিষ্যতে তারা আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।তাই সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আক্রান্তদের বেশির ভাগই পরিবহনে চলাচলের কারণে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-বান্দরবান, চট্টগ্রাম-বান্দরবান রুটে পরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব বাসেই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা বেশি। এসব বাসে মশানাশক ওষুধ ছিটানো (স্প্রে) হয় না। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। বাসে স্প্রে করা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিভিল সার্জন সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বান্দরবানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বেশি হলেও ভয়ের কারণ নেই। কারও জ্বর হলেই পরীক্ষা, চিকিৎসকের পরামর্শ, বেশি বেশি তরল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে; পাশাপাশি গোয়ালঘর, মুরগির খামারে জমে থাকা পানি পরিষ্কারের আহ্বান জানান তিনি।