ডেস্ক রির্পোট:- মর্জিনা বেগম নির্বাক তাকিয়ে আছেন। কাঁদতেও যেন ভুলে গিয়েছেন মলিন চোখে ঢামেকের মর্গের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্বামীর মরদেহের অপেক্ষায়। অসুস্থ স্বামীসহ দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন হাতিরঝিলের মধুবাগে। রিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতেন স্বামী জয়নাল আবেদীন। ১৩ বছর আগে জয়নাল রংপুর থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান। বসতভিটা ছাড়া বাড়িতে নেই কিছু। দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি, হার্ট ও কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। অর্থসংকটে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারতেন না। অসুস্থতার জন্য রিকশা চালানো বন্ধ করে দেন। তার স্ত্রী সংসারের হাল ধরতে বাসা-বাড়িতে কাজ শুরু করেন।
বাবার চিকিৎসা ও সংসারের এই দুরবস্থায় ১৪ বছরের মেয়ে ঝর্ণাও একটি ট্রেইলার্সে কাজ শুরু করে। সংসারের অভাব ও অসুস্থতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জয়নাল নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জয়নালের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার আর কিছু বলার নেই, আমার স্বামী চলে গেল। আমি সংসারের খরচ চালাতে বাসা-বাড়িতে কাজও করি। ছোট মেয়েটাও একটি টেইলার্সে কাজ শুরু করে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচবো। আমার সন্তানদের কী হবে?
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জয়নাল আবেদীন নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।