কক্সবাজার:- কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় থেকে ৪ কিশোরসহ ৮জনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকার সবজিক্ষেতে কাজ করতে যাওয়া ৬জন এবং মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ে দুই রাখালকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে গত ২৭ দিনে মোট ২৮ জন অপহরণের শিকার হলেন।
অপহৃতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রোজার ঘোনার মৃত আমির হোসেনের ছেলে অলী আহমেদ (৩০),
৫নং ওয়ার্ডের করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪ ও শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী ।
টেকনাফে ২৭ দিনে ২৮ জনকে অপহরণ ভুক্তভোগীদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ৬ জন কৃষক অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ে পাশে গরু চড়াতে যান। দুপুরের দিকে অকস্মাৎ একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড় থেকে নেমে এসে তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে মোবাইলেে ফোন করে দুইজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে ভিকটিমদের উদ্ধারে পুলিশের টিম পাহাড় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালিতে ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ কৃষককে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। পরে তাদের ৪জন মুক্তিপণে ছাড়া পান। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি তাদের অভিযানে তারা উদ্ধার হন।
তার আগে ৯ মার্চ মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬ বছরের এক ছাত্রকে অপহরণ করা হয়। তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।