শিরোনাম
রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি শান্ত আবার চালু হচ্ছে বন্ধ করে দেওয়া গণমাধ্যমগুলো পার্বত্য ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনমন চায় ভারতের চাকমারা “পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় বিদেশী শক্তি ও পতিত সরকারের ইন্ধন রয়েছে”ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্ঠাকারিদের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে রাঙ্গামাটিতে তিন ক্যাটাগরিতে হবে ভোটার নিবন্ধন রাঙ্গামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি রাঙ্গামাটিতেও অগ্নিসংযোগ ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব-লীলা মামুন হত্যাকান্ড: দীঘিনালা পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষ, বাড়িঘরে ও দোকানপাটে আগুন দিলো কারা? উত্তপ্ত তিন পার্বত্য জেলা, যা জানালো আইএসপিআর রাঙ্গামাটিতে পরিবহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা

পদ্মা ব্যাংক আর থাকছে না

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৭৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- মার্জার বা একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে পদ্মা ব্যাংক নামে কোনো ব্যাংক আর থাকছে না। সব কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে। পদ্মা ব্যাংকের হিসাবধারীরা লেনদেন করতে পারবেন এক্সিম ব্যাংকে। নিজের আমানত থেকে নগদ টাকাও তুলতে পারবেন। এ ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই।

এসব তথ্য জানিয়েছেন এক্সিম ব্যাংক পর্ষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বড় আমানতের অর্থ এখনই ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তিনি জানান। আর একীভূতকরণের কাজ চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হতে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূত হওয়া নিয়ে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এক্সিম ব্যাংক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। এ সময় পদ্মা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও আফজাল করিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন দুই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইও।

নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, এক মাসের মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের সব সাইনবোর্ড নেমে যাবে। পদ্মা ব্যাংকের সব শাখার কার্যক্রম চলে আসবে এক্সিম ব্যাংকের আওতায়। তিনি বলেন, ‘পদ্মা একটি ছোট ব্যাংক ছিল। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় দেশের স্বার্থে আমি আমার ব্যাংকের পর্ষদে পদ্মাকে একীভূত করতে প্রস্তাব দিই। পর্ষদ সে প্রস্তাব অনুমোদন করায় পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে এগিয়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, এক্সিম ব্যাংক একটি বৃহৎ ব্যাংক। পদ্মা ব্যাংকের জনবল ও শাখা এবং গ্রাহক নেটওয়ার্ক এক্সিম ব্যাংকের কাজে লাগবে। একীভূত হওয়ার পর এক্সিম ব্যাংক আরও ভালো করবে। প্রতিনিয়ত সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কৌশলের কারণে ব্যাংকটির কার্যক্রম প্রসার ঘটছে।

রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘খারাপ কিছু হওয়ার ভয় নেই। আমরা জাল ফেলেছি পদ্মায়। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরব। আপনারা দেখতে থাকুন।’

পদ্মা ব্যাংকের এমডি ও অন্যান্য কর্মীর চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এক্সিম ব্যাংক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘এক্সিম ও পদ্মা দুটি ব্যাংকের এমডিই দক্ষ এবং যোগ্য। আমরা চাইব দুজনকেই রাখতে। এ জন্য কী করা যায়, সেটিও আমাদের ভাবনায় আছে। আর কর্মী পর্যায়ে তো কাউকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। মাত্র এক হাজার কর্মী পদ্মা ব্যাংকে। আমাদের নেটওয়ার্ক বাড়ছে। আমাদের ব্যাংকে অনেক কর্মী লাগবে। আমরা আরও চাই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেয় না। সেদিক থেকে পদ্মার জনবল আমাদের কাজে আসবে।’

নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পদ্মা ব্যাংকের ছোট আমানতকারীরা চাইলে যেকোনো সময় টাকা তুলতে পারবেন। একসঙ্গে তুলে নিতে চাইলেও দিয়ে দেওয়া হবে। এতে এক্সিম ব্যাংকের কোনো সমস্যা হবে না। বৃহৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের অর্থ কবে ফেরত দেবেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সেটা এখনই বলতে পারছি না। তবে এক্সিম ব্যাংক সে অর্থও দিয়ে দেবে। সেটা নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর বোঝা যাবে। এরপর একটা মতৈক্যের ভিত্তিতে সেটা করা হবে।’

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও আফজাল করিমকে প্রশ্ন করা হয়- কবে নাগাদ আমানতকারীরা তাদের টাকা তুলতে পারবেন?

উত্তরে আফজাল করিম বলেন, কেবল তো সমঝোতা স্বাক্ষর হলো। এর মানে এই নয় যে মার্জ বা একীভূত হয়ে গেছে। এখনো অনেক কাজ বাকি। বাংলাদেশ ব্যাংক নিরীক্ষক বা অডিটর নিয়োগ দেবে। তারা স্বতন্ত্র নিরীক্ষা পরিচালনা করবেন। তাদের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে সবগুলো বিষয় মীমাংসা-নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হবে। তার পরই একীভূতকরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এতে সময় লাগবে।

এমওইউ স্বাক্ষর-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এ একীভূতকরণের প্রক্রিয়া ও সময় সম্পর্কে ধারণা দেন।

মুখপাত্র বলেন, এমওইউ স্বাক্ষর-পরবর্তী কাজ হলো মার্জার-অ্যাকুইজেশনের আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া। আবেদন পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই ব্যাংকের জন্য দুটি অডিট ফার্ম নিয়োগ করবে। তারা সম্পদ ও দায়ের হিসাব-নিকাশ করে প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হলো আমানতকারীর শতভাগ সুরক্ষা দেওয়া, জনবলের চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া এবং শেয়ারহোল্ডারদের ন্যায্যমূল্য বুঝিয়ে দেওয়া। এ জন্য নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরি করার কাজ চলমান আছে। সেটি শিগগিরই হয়ে যাবে।

কবে নাগাদ একীভূত করার প্রক্রিয়া শেষ হবে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে এটি সম্পন্ন করা হবে। এখনই টাইমফ্রেম বলা যাচ্ছে না। কারণ এটি আমাদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। ২০০৫ সালের একটি গাইডলাইন আমাদের হাতে আছে। কিন্তু তখন তো সরকারের দুই প্রতিষ্ঠান বিডিবিএল নামে একীভূত হয়েছিল। এরও আগে বিদেশি দুই ব্যাংক একীভূত হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও গ্রিন্ডলেজ এএনজেড ব্যাংক। কিন্তু এবারে দেশের বেসরকারি দুই মালিকানাধীন ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হচ্ছে। এর জন্য পৃথক নীতিমালা লাগবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র দেশের ব্যাংকিং খাতের দুই বেসরকারি ব্যাংকের স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার ঘটনাকে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন (বেস্ট প্র্যাকটিস) পরিপালন করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions