শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় পর্যটক নিখোঁজ বাস্তবায়ন পদ্ধতিতেই ঝুলছে জুলাই জাতীয় সনদ,রোববার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের বৈঠক রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগ না থাকায় জয়ের স্বপ্নে বিএনপি,কতিপয় নেতাকর্মীর অপকর্মে হাত ছাড়া হতে পারে আসনটি রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন রাঙ্গামাটিতে বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনা,পানির নিচে ঝুলন্ত সেতু, হতাশ অনেকে খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন মামলা, আসামি সহস্রাধিক খাগড়াছড়ি থমথমে,এলাকাজুড়ে আগুনের ক্ষত,তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ভারতের মদদে পাহাড়ে ইউপিডিএফের তাণ্ডব ইসলামী ব্যাংকের ৪৯৭১ কর্মী ওএসডি, পরে চাকরিচ্যুত ২০০ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সম্মত নেতানিয়াহু

রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগ না থাকায় জয়ের স্বপ্নে বিএনপি,কতিপয় নেতাকর্মীর অপকর্মে হাত ছাড়া হতে পারে আসনটি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭৪ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাঙ্গামাটিতে তৎপর রাজনৈতিক দলগুলো। এতে আওয়ামী লীগ না থাকায় ২৯৯-পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলে লড়াই হবে ত্রিমুখী। লড়াইয়ে থাকবে বিএনপি, জামায়াত ও আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। তবে জয়ের সম্ভাবনায় জেএসএস ও বিএনপি প্রার্থী। কিন্ত ৫ আগষ্টের পর থেকেে রাঙ্গামাটি বিএনটির কিছু নেতাকমী সরকারী অফিস গুলো নিয়ন্ত্রনে নেয়। এসময় তারা জড়িয়ে পড়ে টেন্ডার বাজিতে। তাছাড়া কাঠ পাচার,বিদেশী সিগারেট পাচার, জমি দখল নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের এসব অপকর্মে দলটির উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দিনদিন বাড়ছে। কিছু নেতাকর্মীর কারনে জেলায় বিএনপির যে সকল নিরব সমর্থক রয়েছে তাদের বেশীর ভাগই লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া রয়েছে দলীয় কোন্দল। এসব কাটিয়ে সাধারণ জসগনের আস্তা অর্জন করতে না পারলে এই আসনটি বিএনপির জিতে আসা কঠিন হবে।

জনসংযোগসহ মাঠে নির্বাচনি তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। রাঙ্গামাটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন সাতজন। ইতোমধ্যে একক প্রার্থীর চূড়ান্ত ঘোষণা করেছে জামায়াত। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর জেএসএস। তবে অপর আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তৎপরতা এখনো লক্ষণীয় নয়। এছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলো। নির্বাচন করতে পারেন স্বতন্ত্র কেউ।

রাঙ্গামাটিতে ভোটারদের মাঝে যোগ্যতার মাপাকাঠি বা পছন্দের বিবেচনায় শুধু রাজনৈতিক দল নয়, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ ও পরিচিতিও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নির্বাচন মানে পাহাড়ি-বাঙালি ভোটের হিসাব-নিকাশ অন্যতম ফ্যাক্টর। রাঙ্গামাটিতে সংখ্যায় বেশি পাহাড়ি ভোটাররা, যাদের বেশির ভাগই আঞ্চলিক দলের সমর্থক। জাতীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিতেও যথেষ্ট সংখ্যক পাহাড়ি ভোটার বা সমর্থক আছেন। তাছাড়া জাতীয় পার্টিতেও কিছুসংখ্যক পাহাড়ি নেতাকর্মী আছেন। নতুন দল এনসিপিতেও পাহাড়িদের কিছু লোকজন যোগ দিয়েছেন।

আসনটিতে ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির বিনয় কুমার দেওয়ান। ১৯৯১ সালে জয়ী হন আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার। এরপর নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির পারিজাত কুসুম চাকমা ও জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দীপংকর। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিএনপির মণিস্বপন দেওয়ান। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন দীপংকর। ২০১৪ সালে দীপংকরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। এরপর ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচিত হন দীপংকর।

এবার বিএনপিতে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে আছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাবেক জেলা যুগ্ম জজ অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাবেক উপমন্ত্রী মণিস্বপন দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনির ও কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি দিলদার হোসেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার বলেন,তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে থাকবেন। এবার নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ থাকছে না। তাই রাঙ্গামাটি আসনে আমার জয় একেবারে নিশ্চিত হবে। প্রতিটি উপজেলায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক সফর চলমান রয়েছে। সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো বলেন, এখানে সবচেয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতা হলেন দীপেন দেওয়ান। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আসনটিতে জয় নিশ্চিত হবে। দীপেন দেওয়ান বলেন, বিএনপি থেকে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া হলে জয় নিশ্চিত হবে।

জামায়াতের জেলা আমির আবদুল আলীম বলেন, এ আসনে আমরা একক প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করব। আইনজীবী মোখতার আহমেদকে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দল। দলটির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ বলেন, জনগণের দোয়া ও সমর্থনই আমাদের শক্তি। আমরা চাই একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ, যেখানে ইসলামি আদর্শে শান্তি, ন্যায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর আঞ্চলিক দল জেএসএস। আসনটিতে এবারও এককভাবে প্রার্থী দেবে দলটি। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলন দলটির সমর্থিত ঊষাতন তালুকদার। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন করায় তা বর্জন করে জেএসএস। আসনটিতে এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী ঊষাতন হতে পারেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions