ডেস্ক রির্পোট:- ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আরেকটি রক্তঝরা সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই সরকার জনগণের শান্তি চায় না, মূলত দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায়।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের আহ্বান এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এবার চূড়ান্তভাবে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। তাদের সর্বশক্তি দিয়ে হটাতে হবে। অন্যথায় দেশ- জাতি নিরাপদ থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বাঁচার এখন একমাত্র পথ পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এছাড়া সরকারের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নেই। শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে। তাই সরকারকে বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে ভোট চোরের স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার ‘নাকে খত’ দিয়ে পদত্যাগ করুন। আমাদের স্বাধীনতার শিকড় ধরে টান দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, গুম- খুনসহ গত ১৫ বছরে বিরোধীদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এবার ভোট বর্জন করেছে। তবে কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের রাজনীতি কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সরকারের পতন অনিবার্য।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, গাজী ফারুক, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা খাইরুল ইসলাম, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. আসাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, এরশাদুর রহমান, উমার রাযী, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান,ছাত্র জমিয়তের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, খালেদ মাহমুদ মাহমুদ, ছাত্র মিশনের মোসতাকিম বিল্লাহ প্রমুখ।