ডেস্ক রির্পোট:- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজে সমন্বয় থাকা দরকার। পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় সরকারের উন্নয়ন কাজকে গতিশীল রেখে যথাসময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বুধবার (১৫ মে) ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র-এর সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের খসড়া এপিএ’র উপর দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, প্রতিবছর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কাজে ভালো পারফরমেন্সের জন্য টার্গেট অনুযায়ী কাজের মান নির্ধারণ বা মেধাভিত্তিক নির্বাচন করে থাকে। মেধাভিত্তিক স্কোর বা মান নির্ধারণ একটি সংস্থা, বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের জন্য বড় পুরস্কার। প্রত্যেক সংস্থাকে যথাসময়ের মধ্যে এপিএ’র কৌশলগত উদ্দেশ্য, কর্মসম্পাদন সূচক, কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও প্রক্ষেপণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.মশিউর রহমান এনডিসি-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও উপসচিব খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।
এপিএ সংক্রান্ত কর্মশালায় কৃষি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামো ও পর্যটন বিকাশ; বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও জীবানযাত্রার মানোন্নয়ন; পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ; শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এরূপ পাঁচটি গ্রুপের কৌশলগত উদ্দেশ্যের মান ৭০ নম্বরের উপর আলোচনা হয়।
এর আগে সকালে একই জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এপ্রিল ২০২৪ সালের মাসিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানানো হয়। যার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য থেকে পাওয়া গেছে ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রকল্পসমূহের চলতি বরাদ্দ ও ব্যয়ের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্প/উন্নয়ন সহায়তা খাতে অনুমোদিত প্রকল্প ১৬টি এবং উন্নয়ন সহায়তা ৩টির মোট বরাদ্দ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৪৯.৭১ শতাংশ। যা একই সময়ে গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪১.৪১ শতাংশ।