ডায়াবেটিস-হৃদরোগ-স্থূলতায় মিলবে না মার্কিন ভিসা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্র, স্নায়বিক, বিপাকজনিত রোগসহ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মতো জটিল রোগে আক্রান্তদের এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্র, স্নায়বিক, বিপাকজনিত রোগসহ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মতো জটিল রোগে আক্রান্তদের এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। নতুন এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক ও কর্মসূত্রে ভিসা পাওয়ার সুযোগ আরো সংকুচিত হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের মধ্যে এসব জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। এ অবস্থায় নতুন নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের ভিসাপ্রাপ্তি ও অভিবাসনের সুযোগ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বয়স বা স্বাস্থ্যজনিত কারণে ভবিষ্যতে সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হতে পারেন এমন ভিসা আবেদনকারীকে অযোগ্য ঘোষণার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় গত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা জারি হয়। এতে বলা হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ‘পাবলিক চার্জ’ বা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের ওপর সম্ভাব্য বোঝা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বব্যাপী তাদের দূতাবাস ও কনসুলার কর্মকর্তাদের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর স্বাস্থ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হিসেবে ধরতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু জটিল রোগ যেমন হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, বিপাকজনিত রোগ, স্নায়বিক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মতো বিষয়কে এক্ষেত্রে বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় স্থূলতাকেও বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে ভিসা কর্মকর্তাদের। যেহেতু এটি হাঁপানি, স্লিপ অ্যাপনিয়া ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এসব জটিল রোগের চিকিৎসায় লাখ লাখ ডলার খরচ হতে পারে উল্লেখ করে ভিসা আবেদনকারীর আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করে দেখতেও বলা হয়েছে যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা ছাড়া চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে সক্ষম কিনা। তাছাড়া ভিসা আবেদনকারীর পরিজনের কারো দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যা বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন রয়েছে কিনা যে কারণে আবেদনকারী নিয়মিতভাবে চাকরি করতে অক্ষম হতে পারেন—এ বিষয়েও যাচাই করার কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভিসা নীতিমালা অনুসারে আবেদনকারীকে সংক্রামক রোগের জন্য স্ক্রিনিং করা হয়। মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহারের ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বা সহিংস আচরণের ইতিহাস জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস বিসহ বিভিন্ন টিকার প্রমাণপত্র দিতে হয়। এ অবস্থায় জটিল রোগের বিষয়টিকেও ভিসাপ্রাপ্তির শর্তে সংযুক্ত করায় আবেদনকারীকে আরো বেশি যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে পড়তে হবে এবং এতে ভিসা বাতিলের হারও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যারা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন করছেন তাদের জন্য এ নির্দেশনা বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তবে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই অন্য ক্যাটাগরির ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে পরবর্তী সময়ে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেন। ফলে সব ক্যাটাগরির ভিসার জন্যই নতুন এ নির্দেশনা কার্যকর করার সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যারা পড়াশোনার পর এইচ-১বি ভিসায় সেখানে থাকার অনুমতি পেত বর্তমানে তাদের সেই সুযোগ বিভিন্নভাবে সংকুচিত করা হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নতুন যে ভিসা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটি চক্রাকার অভিবাসনকে লক্ষ্য রেখে জারি হয়েছে। চক্রাকার অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া কিংবা নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তি তার পরিবারের সদস্যদের সেখানে নিয়ে যান।’

নতুন নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অভিবাসনের সুযোগ সংকুচিত হবে উল্লেখ করে এম হুমায়ুন কবির আরো বলেন, ‘আমার ধারণা ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে চক্রাকার অভিবাসনকে সীমিত করতে চাইছে। নতুন এ নির্দেশনার কারণে যারা দেশটিতে স্থায়ী অভিবাসনে আগ্রহী তাদের সুযোগ সংকুচিত হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারো এসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে তারা এখন থেকে আর ভিসা পাবেন না। তাছাড়া অনেকে এত ঝামেলার কারণে নিজেরাই যেতে অনাগ্রহী হতে পারেন। এ অবস্থায় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নির্দেশনা অনুসরণ কিংবা অভিবাসন প্রক্রিয়া আরো কঠোর করার শঙ্কা রয়েছে। অভিবাসনের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি উপকৃত হচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, সেগুলো মোকাবেলায় আমাদের করণীয় কী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’

বাংলাদেশে প্রতি বছরই হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিবেশদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের রোগও বাড়ছে। দেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ ক্যান্সারের রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা গবেষকরা। তবে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষকদের করা জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রির তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি লাখে ১১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণাটিকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিলে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে ক্যান্সারের রোগী আছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ জন। গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরির তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৭ জন। আর ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে (২০১৮ সাল থেকে) বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৭ জন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিদিন আনুমানিক ২ হাজার ৭২০ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে সব ধরনের হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার ১৯০। বিশ্বের অন্য অনেক দেশে হাজারে ৮-১০ জন শিশু হৃদরোগ নিয়ে জন্ম নিলেও বাংলাদেশে সেই সংখ্যা অনেক বেশি। কিডস হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে হাজারে ২৫ জন শিশু হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়।

পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিসিএসবি) সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হৃদরোগী বেশি। এগুলো তরুণদের মাঝে বেশি বাড়ছে। এসব রোগে আক্রান্তের হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি। আমাদের দেশের মানুষের যে জিনগত বৈশিষ্ট্য সেটির কারণে এ রোগে আক্রান্তের হার ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। দেশের বাইরে শিক্ষার্থী বা কর্মী হিসেবে যারা যান তারা আমাদের কাছে আসেন এনওসির (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) জন্য। তাদের কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা লাগে। এসব রোগের কারণে যদি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়বেন। অনেকে আমেরিকায় যান পড়ালেখা বা চাকরির জন্য। তাদের বড় অংশের আমেরিকায় যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে।’

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ডায়াবেটিস চিকিৎসার জাতীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০ থেকে ৮০ বছর বয়সী ১৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ এ রোগে ভুগছে। বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের ২০২৩ জরিপ অনুসারে দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ সিওপিডিতে (দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা) ভুগছেন।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোরজি বিভাগের (ইউনিট-২) সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আগে ধারণা করা হতো বয়স্কদেরই ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু এখন তরুণদের মধ্যে এ রোগের উপস্থিতি নজরে পড়ার মতো। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রম কমে যাওয়া, জিনগত বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন আনুমানিক তিন লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার শুধু বাংলাদেশী। দেশটিতে বাংলাদেশী জনসংখ্যার মধ্যে ৭১ শতাংশই অভিবাসী। ২০০০ সালে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার, যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজারে। তাদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন ৫৫ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ এরই মধ্যে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

রোগীদের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি ভিসা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে নতুন নির্দেশনায়। কিন্তু পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ার অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের তুলনায় বাংলাদেশীদের আর্থিক সক্ষমতা তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশী পরিবারগুলোর বার্ষিক গড় আয় ৭৮ হাজার ৪০০ ডলার, যা অন্য এশীয় পরিবারগুলোর গড় আয়ের (১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডলার) তুলনায় অনেক কম।

প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী গমনের সংখ্যা বাড়ছে। এ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই লক্ষ্য থাকে দেশটিতে স্থায়ী অভিবাসনের। এ অবস্থায় ভিসা-সংক্রান্ত নতুন এ নির্দেশনা যেসব বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের অভিবাসনের সুযোগকে সীমিত করবে। ২০২৪ সালের ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৯৯ জন। আগের শিক্ষাবর্ষের তুলনায় এ সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেশি। এ বৃদ্ধি বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম স্থান থেকে অষ্টম স্থানে নিয়ে যায়। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০২ জন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯ জনে।

অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘ভিসা কাকে দেবে বা দেবে না এটি দেশটির সিদ্ধান্ত। কিন্তু অসুস্থতার জন্য ভিসা দেয়া হবে না এমন সিদ্ধান্ত মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই এটি নিষেধ করার সুযোগ নেই। জাতিসংঘ ঘোষিত বিভিন্ন অধিকার রয়েছে। এটি সেই অধিকারের লঙ্ঘন। আমেরিকায় আমাদের অনেক অভিবাসী রয়েছেন। তাদের বাবা-মা নিয়মিত দেশটিতে আসা-যাওয়া করেন। এতে বড় প্রভাব পড়বে। আমেরিকায় যেসব বাংলাদেশী আছেন তাদের ভোগান্তি বাড়বে।’বণিক বার্তা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions