শিরোনাম
গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুদক অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ নিজ জেলা বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নয় খাগড়াছড়িতে বুক পকেটে চিরকুট রেখে যুবকের আত্মহত্যা ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিনজন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ বড় শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের অভিযান খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড প্রসঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও থামছে না ইসরায়েল, বাড়ছে মানবিক বিপর্যয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিরা কে কোথায়?

নেপালে হেলিকপ্টারে করে মন্ত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছে সেনাবাহিনী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৮২ দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- দেশজুড়ে বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় নেপালি সেনাবাহিনী মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত ভাইসেপতির বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে সেনাবাহিনী। মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,পার্লামেন্ট ভবন রক্ষার জন্যও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামরিক ঘাঁটিতে নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল এবং প্রধানমন্ত্রী ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর, মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।

এরই মধ্যে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরের কিছু অংশ ভেঙে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানেই ‘বিজয় পতাকা’ ওড়ায় তারা।

এরই মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি।এই পদক্ষেপ দেশকে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক দশকের মধ্যে এই বিক্ষোভকে নেপালের সবচেয়ে বড় অস্থিরতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত এবং চীনের মধ্যে অবস্থিত দরিদ্র হিমালয় কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশটি ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র উচ্ছেদের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডেকেছিলেন অলি। বৈঠকে তিনি বলেন, সহিংসতা দেশের স্বার্থে নয় এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।

কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে রাগ কমার কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। বরং কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ও রাজধানীর অন্যান্য স্থানে জড়ো হয়। কিছু সড়কে টায়ার জ্বালায়, পুলিশকে পাথর ছুড়ে তাড়ায়, কিছু রাজনীতিবিদের বাড়িতে আগুন দেয়।

ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি কিছু শহরের শত শত মানুষ বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে কাঠমান্ডুর দিকে যাত্রা শুরু করে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions