আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- দেশজুড়ে বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় নেপালি সেনাবাহিনী মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত ভাইসেপতির বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে সেনাবাহিনী। মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,পার্লামেন্ট ভবন রক্ষার জন্যও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামরিক ঘাঁটিতে নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল এবং প্রধানমন্ত্রী ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর, মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
এরই মধ্যে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরের কিছু অংশ ভেঙে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানেই ‘বিজয় পতাকা’ ওড়ায় তারা।
এরই মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি।এই পদক্ষেপ দেশকে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক দশকের মধ্যে এই বিক্ষোভকে নেপালের সবচেয়ে বড় অস্থিরতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত এবং চীনের মধ্যে অবস্থিত দরিদ্র হিমালয় কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশটি ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র উচ্ছেদের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডেকেছিলেন অলি। বৈঠকে তিনি বলেন, সহিংসতা দেশের স্বার্থে নয় এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে রাগ কমার কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। বরং কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ও রাজধানীর অন্যান্য স্থানে জড়ো হয়। কিছু সড়কে টায়ার জ্বালায়, পুলিশকে পাথর ছুড়ে তাড়ায়, কিছু রাজনীতিবিদের বাড়িতে আগুন দেয়।
ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি কিছু শহরের শত শত মানুষ বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে কাঠমান্ডুর দিকে যাত্রা শুরু করে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com