শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে সোহাগ হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার ফলে দেশজুড়ে নৈরাজ্য : দীপেন দেওয়ান কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিট সচল,উৎপাদন হচ্ছে ২১২ মেগাওয়াট পাহাড়ি গিরিপথে কেন ঝরছে প্রাণ,ঝুঁকিপূর্ণ ঝর্ণায় প্রবেশে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন প্রয়োজন খাগড়াছড়িতে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে নিখোঁজ শিশু পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব শেখ হাসিনার যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্ধকারময় অধ্যায়-স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মিটফোর্ডের হত্যার বিচার হবে: আসিফ নজরুল লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা

ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় ইতিবাচক : ঔষধ শিল্প সমিতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫
  • ৭১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপোট:- ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যালস ইন্ডস্ট্রিজ (বিএপিআই) বা বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশের ঔষধ শিল্প আরও শক্তিশালী হবে।

ঔষধের এপিআই শিল্পে কাঁচামাল আমদানীতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রস্তাব করায় ঔষধের এপিআই শিল্প আরও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে অতি উচ্চমূল্যের ক্যান্সার নিরোধী ঔষধসমূহ বাজারজাত করার পথ সুপ্রশস্ত হবে।

উল্লেখ্য যে, দেশে ৯০ শতাংশ এপিআই আমদানী হয়ে থাকে। এই আমদানীকৃত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এপিআই শিল্পের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিকল্পে এই শুল্কনীতি সাহায্য করবে। একই সাথে দেশেই বহু এপিআই তৈরি হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। ফলে ক্যান্সার নিরোধী সমস্ত ঔষধের মূল্যের স্থীতিশীলতা দাঁড়াবে এবং প্রাপ্যতা বাড়বে। সাধারণ জনগণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি ও মানের ঔষধ সবসময় প্রাপ্তির বিপুল নিশ্চয়তা দেশেই তৈরি হবে।

ঔষধ শিল্প শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণই নয়, আরও কিছু প্রণোদনা পেলে অন্যতম রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ঔষধ শিল্পের বিনিয়োগে ব্যবহ্নত স্যান্ডউইচপ্যানেল ও ল্যাবরেটরি ফার্নিচার সমূহে এখনও উচ্চ শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে।

অথচ আগে এটি মাত্র ১ শতাংশ হারে ছিল। আমরা আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্টরা এখানে বাড়তি নজর দিবেন এবং নতুন ঔষধ শিল্পের জন্য প্যানেলের ক্ষেত্রে এই শুল্ক পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সব নাগরিককে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে সেবার পরিধি বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল নিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতের শূন্য পদ পূরণে চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ ত্বরান্বিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

রেফারেল হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি ৫০ শয্যার বেশি সব হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাব করেছেন মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ঔষধ শিল্প সমিতি জানায়, “চিকিৎসা ব্যবস্থায় উপরোক্ত সুযোগটি সম্প্রসারণ করায় দেশের রোগীদের অনেক উপকার হবে।’

এ ছাড়া এবারের বাজেটে সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক ভেহিক্যালকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি মনে করে, সরকার এবারের বাজেটে যে সমস্ত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে সেটি সাধুবাদযোগ্য। তবে যারা এই ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করবেন বিশেষত রাজস্ব বোর্ড এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাদেরকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে স্বচেষ্ট ও আন্তরিক হতে হবে।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া উপরোক্ত সুবিধাসমূহের পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা এবং চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে।

১। সর্বশেষ অর্থবছরে ননলিস্টেড কোম্পানিসমূহের জন্য সর্বনিম্ন ট্যাক্সের হার ছিল ২৫% যা এই বাজেটে বৃদ্ধি করে ২৭.৫% করা হয়েছে। কিন্ত সর্বক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রায় সমস্ত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি একটি প্রতিকূল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে কর্পোারেট ট্যাক্সের হারের এই বৃদ্ধি ননলিস্টেড ফার্মা কোম্পানির ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা তৈরি করবে। এমতাবস্থায় কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২৫% রাখার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।

২। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে ট্যাক্স ফ্রি লিমিট বাড়ানো হয়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত পরিবর্তনের কারণে শিল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমে যাবে। বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন করা গেল।

৩. সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে কোম্পানিসমূহের জন্য ন্যূনতম কর্পোরেট ট্যাক্সের পরিমাণ মোট বিক্রয় আয়ের ওপর ১% নির্ধারণ করেছে যা পূর্বে ০.৬% ছিল। যেহেতু অধিকাংশ ফার্মা কোম্পানি এখন মুনাফা করতে হিমশিম খাচ্ছে সেহেতু ন্যূনতম ট্যাক্সের এই বৃদ্ধি ফার্মা কোম্পানিসমূহের সক্ষমতাকে প্রবলভাবে হ্রাস করবে। মুনাফা না করলে এই ট্যাক্স কোম্পানিসমূহকে তাদের মূলধন থেকে প্রদান করতে হবে- যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম ট্যাক্সের হার পূর্বের জায়গায় রাখার আবেদন করা গেল।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions