ডেস্ক রির্পোট:- ৃশরিফুল হক ডালিম। তিনি মেজর ডালিম নামেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। অভিযোগ ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে রাত ৯ টায় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বিশেষ লাইভে যুক্ত ছিলেন। সেখানে তিনি তার জীবন ও সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছিল। অসংখ্য নারী সম্ভ্রম হারিয়েছিল। এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর ডালিম বলেন, কথাটা কিভাবে জন্ম নিল এটার ইতিহাস বললে, আমি তোমাকে আবার স্মরণ করে দিতে চাই; মুজিব যখন সিরাজ ভাই আর রেজাউল করিম সাহেব’কে আলাদা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করছে; সত্যিই কি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে? নাকি আমারে কোথাও নিয়ে মাইরা ফেলানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তখন সিরাজ ভাই উনাকে বললেন মুজিব ভাই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আপনি যাইতেছেন প্রাইম মিনিস্টার অফ বাংলাদেশ। কিন্তু আপনি ইন্ডিয়া হয়ে যাচ্ছেন কেন সেটা আমরা বলতে পারব না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। তখন তিনি (শেখ মুজিব) বলেন ইন্টারভিউ নিবেতো যে ক্ষয়ক্ষতি কত?
তখন তিনি (সিরাজ ভাই) বলেন, এ সব কিছু মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় তিন লক্ষের মত। পরে তিন লক্ষ কে যখন ইন্টারভিউ নিতে আসছিল। যখন মুজিবকে জিজ্ঞেস করছিল, হোয়াট ইজ দ্যাট থিংকিং অফ লসেস লাইফ ডিউরিং দা ফ্রিডম ফাইটিং? তিনি (শেখ মুজিব) বললেন থ্রি মিলিয়ন। তিন লক্ষ’কে বানাই ফেলাইলো ৩ মিলিয়ন। ওইখান থেকে যে রেকর্ড বানানো শুরু হল তিন মিলিয়ন। ওটা চলতে আছে, চলতেই আছে, চলতেই আছে।
টকশোতে মেজর শরিফুল হক ডালিম বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদেরই একজন লোক ছিলেন। ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেয়ার জন্য আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা ২৫ বছরের কর্মসূচি হাতে নেই। সেগুলো ওনাকে জানাই। কর্মসূচিগুলো তিনি পড়েন ও মেনে নেন। তারপর তিনি কোরান শপথ নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন। কিন্তু পরবর্তিতে তিনি তার নিয়ত থেকে সরে আসেন। তার জন্য আমরা দায়ি না। জিয়া দেশপ্রেমিক ও সৎ লোক ছিলেন।
মেজর ডালিম বলেন, মুজিব সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে। বাকশাল বিদায়ের পরে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে। শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মত যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল যে তার জুলুমের অবসানের জন্য।
মেজর ডালিম আরো বলেন, তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্বের দেয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির উপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।
টকশোতে মেজর ডালিম বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু’কে হত্যার পেছনের নেপথ্যের ঘটনা নিয়েও কথা বলেন।