ডেস্ক রির্পোট:- ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত প্রক্রিয়ার নানা ঘটনা নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল শনিবার রাতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমল থেকে কেন জুলাই বিপ্লবের রূপ নিল, কিভাবে নিল, ৯ দফা থেকে ১ দফায় আমাদের কেন আসতে হলো, ছাত্র–জনতার আকাঙ্ক্ষা কিরূপ ছিল এসব বিষয় নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সংগঠক ফারদিন হাসান জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা ও এই ঘোষণায় কোন কোন বিষয় থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু ধারণা দিয়েছেন। প্রোক্লেমেশন অফ রেভ্যুলেশন কেন লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে– ফারদিন বলেন, আমার, আপনার এবং আমাদের সবার অস্তিত্ব বাঁচাতে এই ঘোষণা লাগবে। আমাদের এই বিপ্লবকে সত্যিকার অর্থে বিপ্লবে রুপ দিতে এই প্রোক্লেমেশন লাগবে। এই কাজ হওয়ার দরকার ছিলো ৫ আগস্ট। কিন্তু দেরিতে হইলেও যে হচ্ছে এইটাও স্বস্তির খবর।
তিনি বলেন, এখন আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই প্রোক্লেমেশন জিনিসটা আসলে কি? এটা মূলত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আক্ষরিক অর্থে ঘোষণা। তো এই ঘোষণাটা ঠিক কি করে? এই যে ধরেন এই সরকার, এটা তো সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ। প্রোক্লেমেশন সে সংবিধানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে এবং সংবিধানকে প্রোক্লেমশনের আলোকে ব্যাখ্যা এবং সংশোধন করতে বাধ্য করে। যে স্টেট সিস্টেম আমাকে বা আপনাকে এখন পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফাঁসির আসামি বানিয়ে রেখেছে, সে স্টেট সিস্টেমকে খারিজ করে দেয়।
এই প্রোক্লেমেশন আরো কি কি করতে পারবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই যে আমাদের নিত্যদিনের অভিযোগ থাকে যে এইটা কেন এভাবে হচ্ছে না, ওইটা কেন ওইভাবে হচ্ছে না? এই সব হিসাব নিকাশ বদলানোর জন্যই প্রোক্লেমেশন জরুরি। রাষ্ট্রযন্ত্রের যেসব বস্তাপচা নিয়মের কারণে সব কাজ পিছিয়ে যায় তা ছুড়ে ফেলে জুলাইয়ের আলোকে নতুন রাষ্ট্রকাঠামো তৈরির ভিত্তি হবে এই প্রোক্লেমেশন। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এই দেশের মানুষ দেখেছে, তা বাস্তবায়ন হবে এর মাধ্যমে।
ফারদিন বলেন, এই কাজ হওয়া উচিত ছিলো আরো অনেক আগেই। দেরি হয়ে গেছে প্রায় মাস পাঁচেক। কিন্তু তাও হচ্ছে। জুলাইকে ধারণ করা প্রতিটি ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এর মাধ্যমে। যে বাংলাদেশ ২.০ এর কথা আমরা এতদিন বলে এসেছি তা সত্যি হবে ৩১ তারিখ। আমি থাকবো সেদিন শহিদ মিনারে মুজিববাদের কবর রচনা করতে, আপনারা থাকবেন তো?