ডেস্ক রির্পোট:- আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক এই কর্মকর্তা ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকা সম্পদের ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন তার সম্পদ বিবরণীতে। আর ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (গবেষণা ও পরিসংখ্যান উইং) এর এই কর্মকর্তা ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক। আসামি ২০২২ সালে ১৬ অক্টোবর তার সম্পদ বিবরণী দুদকে দেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় আসামির নিজ মালিকানাধীন বনশ্রী, এফ ব্লকে ক্রয়কৃত ৩.৫ কাঠা জমি নির্মিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়ির নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শন করেছেন ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। বাড়িটি নিরেপক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে পরিমাপ গ্রহণ করে নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২ কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৩ টাকা। এক্ষেত্রে আসামি ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকার নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শন না করে তা গোপন করেছেন।আসামী বদরুন নাহার তার সম্পদ বিবরণীতে ৮ কোটি ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৬ টাকা মূল্যের সম্পদ প্রদর্শন করেন। তার বৈধ আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৮২০ টাকা।
টাকা। সুতরাং তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকা।
এর আগে সোমবার একই জেলা কার্যালয়ে আসামির স্বামী ও সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুটি মামলায় এই দম্পত্তির সন্তান আসিফ মাহমুদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কনসেপ্ট কোন আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা মামলা তদন্তকালে নির্ধারণ করা হবে বলে দুদক জানায়।